আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৪:৫৫

পিলখানা হত্যা : ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায়ের আপিলে প্রত্যেকের লাগবে ২২ লাখ টাকা

পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলার ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায় নিয়ে বিপাকে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান বিচরপতির হস্তক্ষেপ দরকার।

বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর আজ-মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে কিছু বিপথগামী জোয়ানের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনাকর্মকর্তা। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়। মামলার দুই ধাপ বিচার শেষ হয়েছে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে। এখন বাকি আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

এদিকে, পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলার ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায় নিয়ে বিপাকে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষ বলছে, আপিল করতে গেলে প্রত্যেক আসামির খরচ হবে ২২ লাখ টাকা করে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দরকার। এছাড়া, ধীরগতিতে চলছে বিস্ফোরক আইনের মামলার কার্যক্রম।পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলায় ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ৫৫২ জনকে সাজা দিয়ে ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিশ্বের ইতিহাসে এতো পৃষ্ঠার রায় এটিই প্রথম।এ রায় নিয়ে এখন বিপাকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। আসামিপক্ষ বলছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে প্রত্যেক আসামিকে গুণতে হবে প্রায় ২২ লাখ টাকা যা তাদের পক্ষে অসম্ভব।বিষয়টি স্বীকার করে খোদ অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইবেন তিনি।হত্যা মামলার যখন এ অবস্থা তখন বিস্ফোরক আইনের অপর মামলা চলছে কচ্ছপ গতিতে।

১১ বছরে সাক্ষী হয়েছে মাত্র ১৪৫ জনের। ফলে হত্যা মামলা থেকে ২৫০ জনের বেশি খালাস পেলেও এ মামলার কারণে বের হতে পারছে না তারা।উল্লেখ্যে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনেক।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত