আজ - শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ১১:৩৩

করোনায় খুলনা ১৩, যশোর ৯ ও সাতক্ষীরায় ৮ জনের মৃত্যু! যশোরে নতুন শনাক্ত ১২১ জন

সীমান্তের তিন জেলায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ১৩ জন, যশোরের ৯ জন ও সাতক্ষীরার ৮ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জেলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন চলছে। এদিকে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে আরও ৭ দিন। সেইসঙ্গে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ প্রশাসনের।
স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯ জন। এদের মধ্যে ৪ জন করোনা রোগী এবং অপর ৫ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৫৪ জন। যশোর সদর হসপিটালের আরএমও আরিফ আহমেদ বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় চাপের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসকরা।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধি-নিষেধ এলাকা ভিত্তিক থেকে জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যা কার্যকর করতে প্রশাসন আরো কঠোর হবে। ঔষধের দোকান ছাড়া সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে।
ওদিকে স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনার তিনটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মতো কঠোরভাবে লকডাউন চলছে। সেই সঙ্গে জেলায় আরও নতুন করে ১৮৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
আজ সকালে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে খুলনার আটজন, যশোরের দুজন, বাগেরহাটের দুজন এবং নড়াইল জেলার একজন।
এসব হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৬ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন এবং সদর হাসপাতালের একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা পিসিআর ল্যাব ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় জেলায় আরও ১৮৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩০ শয্যার বিপরীতে ১৫৬ জন এবং সদর হাসপাতালে ৭০ শয্যার বিপরীতে ৪৯ জন।
এদিকে সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনায় বাকি সাতজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
 মঙ্গলবার মারা যান আরও ১০ জন। গত দুদিনে জেলায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।  
সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, গত দুদিনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দুই জনের করোনা পজিটিভ ছিল। সাতক্ষীরার  মেডিকেল  কলেজ  হাসপাতাল  ও বিভিন্ন  ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গড়ে  প্রতিদিন  ৪-৫ জন করে করোনা উপসর্গ  ও করোনায় আক্রান্ত  হয়ে মৃত্যু বরণ করছেন। প্রতিদিন  আক্রান্ত  হচ্ছে ৪৫-৫০ জন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর ঠাঁই দেয়ার মতো জায়গা হচ্ছে না ।

আরো সংবাদ