আজ - বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ১১:২১

শার্শায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মারামারি আহত- পাঁচজন

শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ  যশোরের শার্শার পল্লীতে যাতায়াতের উঠানপথে ধান রাখাকে কেন্দ্র করে হিন্দু- মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল ৯টার দিকে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নে তেবাড়িয়া গ্রামে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তেবাড়িয়া গ্রামের জেলে পাড়ার গকুল হালদারের ছেলে দিনো হালদার মাঠ থেকে ধান এনে বৈরী আবহওয়ার কারণে বাড়িতে তুলতে না পেরে নিমাই মোড়লের বাড়ির আঙ্গিনা পাড়ার লোকজনের যাতায়াতের পথে উঠানে রাখেন । এতে বিল্লাল সরদার দিনো হালদারের নিকট চলাচলের পথে ধান কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে কথা-কাটাকাটি ও বিল্লাহ সরদার দিনো হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন যার এক পর্যায়ে উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে  মূহুর্তের মধ্যেই হাতা-হাতি শুরু হয় এবং পরবর্তীতে লাঠিশোটা ও লোহার রড নিয়ে মারামারি ( ২ পক্ষয় পাল্টা হামলার শিকার) ঘটনা ঘটে। 

এতে ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন গকুল হালদারের ছেলে দিনো হালদার (৩৫), মৃত তারাপদ হালদারের ছেলে মুকুন্দ হালদার (৫০), স্ত্রী কাঞ্চন বালা (৪৫), ছেলে শরৎ হালদার (২৫) এবং মৃত মসলেম সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদার (৪৫)। আহতদের মধ্যে কাঞ্চন বালা ও বিল্লাল সরদারের মাথায় গুরুতর কাটা জখম থাকায় ডাক্তার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনালের হাসপাতালে রেফার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম বলেন, সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে তেবাড়িয়া গ্রামে হিন্দু-মুসলামান দুটি পক্ষের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে । বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম । দুটি পক্ষ থানায় কোন অভিযোগ দিতে না চাওয়ায় ঈদের পর আহতরা সুস্থ্য হলে আপোষ মিমাংসার অঙ্গিকার করেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস বলেন, ডিহি ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটা অনাকাঙ্খিত মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কোন জাতি বা পক্ষ নয় অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৌহার্দ্য প্রতিবেশি ভাই ভাইয়ের সম্পর্ক বজায় রাখতে আহতরা সুস্থ্য হলে দ্রুত উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করা হবে। 

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাত ইসলাম থেকে নব্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী আজিজুর রহমান স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে হাত রেখে এলাকা জুড়ে বিভিন্ন সহিংসতা করে যাচ্ছে । আজিজুর রহমানের প্রভাব দেখিয়ে বিল্লাহ সরদার এমন ঘটণা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।  এর আগেও আজিজুর রহমান ও বিল্লাহ সরদার মহল্লার এমন মারামারির ঘটণার সাথে জড়িত।  

 

 

আরো সংবাদ