আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১০:০৭

দুই জেলায় কালবৈশাখী-বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু

দেশের দুই জেলা সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ও বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে এক পরিবারের মা, মেয়ে ও ছেলের এবং শাল্লায় বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে দুই উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জ
জগন্নাথপুরে পাটলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোলেমানপুর গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী বুলু মিয়ার বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হারুন মিয়া। তিনি পরিবার নিয়ে টিনশেড ঘরে বাস করতেন। ভোরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে একটি গাবগাছ ও আমগাছ উপড়ে তার ঘরের ওপর পড়ে।

এ সময় ঘরের ভেতর থাকা স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫), মেয়ে মাহিমা আক্তার (৪) ও ছেলে মো. হোসাইন (১) গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নারীর স্বামী মো. হারুন মিয়ার চাচাতো ভাই দৈনিক ভোরের কাগজের নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি ম. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, ঘটনার সময় তার চাচাতো ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে যান। পরে কালবৈশাখী শুরু হয়। ঝড় শেষে তিনি বাড়ি এসে এ দেখেন তার স্ত্রী-সন্তানরা মৃত্যুবরণ করেছে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

জেলার শাল্লা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল খাঁ (৪৫) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ (১২) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পাশের হাওর থেকে গরুর জন্য খড় আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহন হন তারা।

পরে স্থানীয়রা তাদের হাওর থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবা-ছেলের মরদেহের সুরতহাল চলছে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬), একই উপজেলার কাতারী মহল্লার আক্কল আলীর ছেলে শিক্ষার্থী হুসাইন মিয়া (১২) ও জাতুকর্নপাড়া মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে জুমা বেগম (১৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন।

তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তাদের দাফন করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দিকে আকস্মিকভাবে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সময় ধান কাটতে গিয়ে আলমগীর মিয়া, ঘাস কাটতে গিয়ে হোসাইন ও পেঁপে পাড়তে গিয়ে জুমা বজ্রপাতের শিকার হন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুমা বেগম ও আহত অবস্থায় হোসাইন ও আলমগীর মিয়াকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার (পিআইও) মাধ্যমে সরকারি আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত