আজ - সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - ভোর ৫:১৪

‘আমি যা করেছি অন্যায় করেছি…’ বলে এলাকায় মাইকিং

বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করে অন্যায় করেছেন, আর বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করবেন না—এমন ভাবনা মনে এসেছে মো. আবদুল বাসেদের। তাঁর বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সুরিহারা গ্রামে। কাজি হিসেবে নিবন্ধন ছাড়া বাল্যবিবাহের আয়োজনে অংশ নিয়ে এক মাস সাজাভোগ করেছেন তিনি। এখন নিজের অন্যায়ের কথা স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না অঙ্গীকার করে এলাকায় মাইকিং করছেন তিনি। গতকাল সোমবার বিকেলে ঝিনাইগাতীর সদর ও আশপাশের এলাকায় তিনি মাইকিং করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইগাতীতে কাজি পরিচয় দিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করে আসছিলেন আবদুল বাসেদ। কিন্তু কাজি হিসেবে তাঁর কোনো নিবন্ধন ছিল না। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের দায়ে তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ইতিমধ্যে তাঁর সেই সাজাভোগ শেষ হয়েছে।

আবদুল বাসেদের ভাষ্য, সাজাভোগ শেষে তাঁর মনে অনুশোচনা এসেছে। তাই তিনি এখন ইজিবাইকে চড়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিজেই মাইকিং করে বলছেন, ‘আমি যা করেছি অন্যায় করেছি। আমি অঙ্গীকার করছি, ভবিষ্যতে আমি কোনো বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করব না। অনৈতিক কোনো কাজ করব না।’ নিজের কৃতকর্মের জন্য এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমাও চাইছেন তিনি।

ইজিবাইকে চড়ে মাইকিং করছেন আবদুল বাসেদ

ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যক্তিগত অনুশোচনা থেকে আবদুল বাসেদ আইনপরিপন্থী কাজ না করার অঙ্গীকার করেছেন। এটি ইতিবাচক। এর মাধ্যমে অন্য ভুয়া কাজিরাও সচেতন হবেন বলে আশা করেন তিনি।

আরো সংবাদ