স্টাফ রিপোর্টার : টানা ৬ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরিফ হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। টানা ৩২ কর্মদিবসে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন ৭৬ জন সাক্ষি। নিহত রিফাতের বাবা ও তার আইনজীবী সাক্ষিদের সাক্ষাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জানুয়ারির ১ তারিখে রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামীর মামলায় ৩০২, ৩৪, ২১২ ও ১২০ বি-১ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় মামলার স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ। একটানা ৩২ কর্মদিবসে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন ৭৬ জন স্বাক্ষী। এর মধ্যে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শিরাজুল ইসলাম দুই দিন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা টানা ৬ দিন স্বাক্ষ্য দেন।মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার বাদী নিহত রিফাতের বাবা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোস প্রকাশ করে আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করেন।রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বাদী দুলাল শরীফ বলেন, মামলার সাক্ষী আজ শেষ হয়েছে। আমি আশাবাদী আমরা সঠিক বিচার পাবো।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, এ পর্যন্ত ৭৬ জন সাক্ষী দিয়েছেন। আমরা আশাকরি ন্যায়-বিচার পাবো। এদিকে স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নিহত রিফাতের স্ত্রী আসামী মিন্নির আইনজীবীও ন্যায় বিচার আশা করেন।মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাবো। যেভাবে বিচার কার্যক্রম চলছে তাতে আমরা ন্যায় বিচারে পাবো। আগামী ১০ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত। ওই দিন স্বাক্ষীদের দেয়া সাক্ষ্য শুনানো হবে আসামীদের।