আজ - শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:০১

একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না, প্রত্যেককে পুনর্বাসন করা হবে : – প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস:
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার প্রত্যেককে পুনর্বাসন করবে সরকার। সুইডেনে তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত এক আলোচনায় তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক কিংবা যে কোনো দুর্যোগে কেবল আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপি বড় বড় কথা বলে, তারা কখনই জনগণের কষ্টের সময় পাশে দাঁড়ায় না। সরকার কিংবা বিরোধী দল, যে অবস্থাতেই হোক বিএনপি কখনো দুর্যোগে মানুষের সহযোগিতার হাত বাড়ায় না। তারা কাজে নয়, কথায় পারদর্শী। আর আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমরা এর অনেক প্রমাণ রেখেছি। বৈঠক সূত্র খানজাহান আলী২৪ডটকম কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্যোগে উদ্ধার ও পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের পার্বত্য এলাকার পাহাড় ধসের উদ্ধার কার্যক্রম, আহতদের চিকিত্সা প্রদান ও পুনর্বাসনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ত্রাণ তত্পরতার কথাও দলীয় সভানেত্রীকে জানান তিনি। এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ ও সেবা করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। বিরোধী দলে থাকতেও জনগণের পাশে ছিলাম, মহেশখালী, কুতুবদিয়ায় ছুটে গিয়েছিলাম। সরকারে থেকেও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি পাহাড় ধসের বিষয়টি আমি বিদেশে থাকাবস্থায়ও সার্বিক খোঁজ-খবর নিয়েছি, প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বলেন, যে যা-ই বলুক, দেশবাসী জানে তাদের দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ সব সময় পাশে থাকে। ‘নৌকা’কে দেশবাসীর যে কোনো দুঃসময়ে পাশে থাকার মার্কা হিসেবে আখ্যায়িত করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় কয়েকজন নেতা গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন— ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বিদেশে আনন্দ ভ্রমণে গেছেন? এ কথায় প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, আমি সফরে যাওয়ার পর পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা জানার পরপরই সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্ধার তত্পরতা এবং চিকিত্সা সেবা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করি। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বড় বড় কথা বলে। কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তারা ক্ষমতায় থাকতে একবার পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। সে সময় চারদিনেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ দেওয়া হয়নি। আমরা তখন বিরোধী দলে ছিলাম। আমি যখন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে ত্রাণ বিতরণ করতে যাই, তা দেখে বিএনপি সরকারের মন্ত্রী কর্নেল আকবর হেলিকপ্টারে কোনো ত্রাণ ছাড়াই সেখানে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘ধার করেও ত্রাণ বিতরণ করতে পারনি কেন?’ তিনি বলেন, এটাই বিএনপির চরিত্র।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ