আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, (বর্ষাকাল), সময় - রাত ১:১১

‘এতে তো আপনারই লজ্জা পাওয়ার কথা, রাষ্ট্র কী করে?’:মাহবুব আলমকে প্রধান বিচারপতি

খানজাহান আলী নিউজ ডেস্ক:

এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে বিচারিক আদালতে শুনানির দিন হাজির করা হয় না মর্মে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এতে তো আপনারই লজ্জা পাওয়ার কথা। রাষ্ট্র কী করে?’

বুধবার আপিল আদালতের দেওয়া আদেশ সংশোধন চেয়ে সংসদ সদস্য রানার করা এক আবেদনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এসব মন্তব্য করা হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল রানাকে আদালতের ধার্য তারিখে শুনানির দিন হাজিরের নির্দেশনা চান। পরে আদালত আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে ধার্য তারিখে রানাকে আদালতে হাজিরের আদেশ দেন।

এর আগে জামিন বিষয়ে আদেশ সংশোধন চেয়ে আবেদন তুলে ধরে আমানুরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।

ওই শুনানিতে মামলার তারিখে বিচারিক আদালতে রানাকে হাজির করা হয় না জানিয়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষে থেকেও আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি শুনেছি, আদালতে ধার্য তারিখে তাকে (রানা) আনা হয় না।’ এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এতে তো আপনারই লজ্জা পাওয়ার কথা। রাষ্ট্র কী করে?’

গত ৮ মে এই মামলায় সাংসদ আমানুর রহমান খানের জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হয়।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খানের জামিন দেন হাইকোর্ট। এ সময় কেন আমানুর রহমান খানকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। তিন দিন পর তার স্ত্রী টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর, তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আমানুর। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

আরো সংবাদ
-->