আজ - মঙ্গলবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ৯:১৩

কেশবপুরে চাচীর সাথে ভাতিজার বিয়ে। পরকীয়ার জের!

স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের কেশবপুরে পরকীয়ায় ধরা খেয়ে দু-সন্তানের জননীকে (চাচী) এক কলেজ ছাত্র বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের শালিসী বৈঠাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত চুড়ান্তের পর বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত অনুমান ৯ টার দিকে উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামের মৃত আনিচুর রহমানের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা ২ সন্তানের জননী ছায়েরা বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী বাশবাড়িয়া গ্রামের মজিবার রহমান দরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাসির হোসেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় বাড়ীর পাশের একটি বাগানে স্থানীয়বাসীর হাতে ধরা পড়ে।

ছায়েরা বেগম সম্পর্কে নাসিরের চাচী হয়। রাত-ভর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি কুচক্র মহল অর্থবানিজ্যের বিনিময়ে রফাদফা করতে ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার সকালে উভায় পক্ষ সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তর দরবারে সরানপন্ন হয়। উভায় পক্ষকে নিয়ে তিনি একটি শালিশী বৈঠাক বসান। এক পর্যায়ে উভায়ের বিয়ের প্রস্তাব চুড়ান্ত হওয়ায় চেয়ারম্যান উক্ত শালিশের ইতি টানেন। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় মেয়ের বাড়ীতেই এই জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

নিভরশীল এ্কটি সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার পূর্বেও স্বামী পরিত্যাক্তা এই মহিলার সাথে কলেজ ছাত্র নাসির আপত্তিকর অবস্থায় একবার ধরা খেয়েছিল। তাছাড়া শালিসের নিয়ম রক্ষার্থে এটি লোক দেখানো বিয়ে হচ্ছে। বিয়ের পরবর্তিতে দেন-মোহরের টাকা মেয়ে পক্ষকে পরিশোষ করেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হবে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

এব্যাপারে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, নাসির ছেলেটি ভাল না। তার কারনে তার চাচীর সংসার ভেঙ্গে গেছে। এলাকার কিছু কু-চক্র মহল লম্পট নাসির কে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভায়কে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ