আজ - বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - রাত ১:০৮

খালেক এখন খুলনার নগর পিতা।

 

বিপুল ভোটে বিজয়ী আ’লীগ

নাঈম সাব্বির : খুলনা সিটি করপোরেশনের নগর পিতা হলেন আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে  বেসরকারিভাবে জয় লাভ করেছেন।

নির্বাচিত নগরপিতা তালুকদার আবদুল খালেক।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ ভোট।

 

মঙ্গলবার ভোট গণনা শেষে তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে।

এছাড়া খুলনায় বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রথমে ২৫টি এবং পরে ৩০টি কেন্দ্রে তার এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার অভিযোগ আনেন।

এদিকে দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৬টি কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। এসময় তিনি কেন্দ্রগুলোর নাম তুলে ধরেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন ইউনুচ আলী। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে। যেখানেই কিছু ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সবার নজর এ নির্বাচনের প্রতি। যতটুকু হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। কেসিসির ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্র অনিয়মের কারণে স্থগিত করা হয়েছে, বাকি ২৮৬টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি।

এরমধ্যে দুই কেন্দ্র ইভিএম ভোট হয়। একটি খুলনার সোনা পোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যার ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৯। অপরটি পিটিআইর জসিমউদদীন হোস্টেল, যার ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৭৯।

খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটালিয়ন ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে। এর মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি ১৬ প্লাটুন বিজিবি, সাড়ে ৪ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য, ৯শ’ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য, নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া পুলিশের ৭০টি টিম দায়িত্ব পালন করেছে।

প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের টিমের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম থাকছে। ৮টি মোটরসাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করেছে।

আরো সংবাদ