আজ - রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - সকাল ৯:৪৬

চিকিৎসকের অবহেলা যশোর জেনারেল হসপিটালে ২ দিনের নবজাতকের মৃত্যু।

সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকের অবহেলা ও উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে তাদের দুই দিনের সন্তানেরমৃত্যু হয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেন ঘটনা ধামাচাপা দিতে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এসে শিশুর চিকিৎসা আফসার আলী নিত্য শিশুর ব্যবস্থাপত্রে ভোর পাঁচটায় শিশুকে রেফার করেছেন বলে উল্লেখ করেন। একই সময় খুলনায় মৃত শিশু স্বজনরা নিয়ে যাবে না বলে অপারগতার কথা ব্যবস্থাপত্র উল্লেখ করেন চিকিৎসক। অথচ মৃত্যুর প্রায় ২ ঘন্টা পরে এসে শিশুর ব্যবস্থাপত্রই চিকিৎসক মৃত ঘোষণা না করেই রেফার করেন।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড নবজাতকের নাম উল্লেখ না করলেও তার মাতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে বেবি অব শান্তা ইসলাম (০২) যশোর শহরতলী নওপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি জামরুল এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। সাং তলা ০৪ নং সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীর স্ত্রী একটি পুত্র সন্তাস জন্মদেন। বাচ্চা জন্মের পরে একটু অসুস্থ বোধ করিলে তারা বাচ্চাকে কিংস হাসপাতারে ডাক্তার পলাশ কুমার পালকে দেখান। এ সময় ডাক্তার শিশুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এমনকি আল্ট্রাসনো করেন। কিন্তু তেমন কোন রোগ ধরা না পড়ায় সাধারণ নিউমোনিয়া উল্লেখ করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বলেন। পরে ৮ তারিখ রাত আটটার সময় সজনা শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থেকে ইন্টার্নি চিকিৎসার ওই শিশুকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। অনেক রিকোয়েস্ট করার পরে রাতে ডাক্তার আফসার আলী আসে শিশুকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যান। এরপর ওয়ার্ডের সেবিকার রোগীর সাধনদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। ব্যবস্থাপত্র সঠিকভাবে প্রদান করেন না ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। এভাবে ভোর পাঁচটার দিকে শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরের শিশুর আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে হট্টগোল করেন। একপর্যায়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা মৃত রোগের স্বজনদের হাসপাতাল থেকে নাবিয়া দেন। এ সময় তারা জরুরী বিভাগের সামনে শিশুর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে অবস্থান করেন। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ডাক্তার আফসার আলী হাসপাতালে যান। এবং ঘটনা ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিষয়টি অন্য খাতে নিতে তিনি মৃত শিশুর ব্যবস্থাপত্রে ভোর পাঁচটার দিকে রেফারের বিষয়টা উল্লেখ করেন। একই সাথে মৃত শিশু রোগীর স্বজনরা শিশুকে খুলনায় নিয়ে যেতে অপর্গত প্রকাশ করেন বলে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়। যেটি জরুরি বিভাগের সামনে উপস্থিত সকলের দেখেন। এছাড়া ডাক্তার আফসার আলী রোগীর সজনদের সাথে উগ্র আচরণ করেন। পরে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বজলুর রশিদ টুল ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তিনি ডাক্তার আফসার আলীকে সাথে করে তত্ত্বাবধায়কের অফিস রুমে নিয়ে যান। পরে তত্ত্বাবধাকে নেতৃত্বে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মৃত শিশু স্বজনদের সাথে দেন দরবার শুরু করেন। এ সময় অফিস কাউকে হট্টগোল শুরু হলে অন্যান্য চিকিৎসকরা ভিতরে যান। সাংবাদিক ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ প্রবেশের অনুমোদন দেননি। পরে স্বজনরা বিচারের দাবিতে তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ গিয়েছেন।
এদিকে মৃত শিশুর মা অভিযোগ করেন দুই দিনের শিশুকে ডাক্তার আফসার আলী শিশুর বয়স বিবেচনা না করে হাই এন্টিবাটিক ঔষধ ডোজ প্রদান করেন। হাইডোজের কারনে শিশুটি সোমবার ভোরে মারাযয় বলে মৃত শিশুর মা অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, শিশু মৃত্যুর পরে ডাক্তার জীবিত বলে খুলনায় রেফার্ড করেন। কিন্তু বাচ্চার বাবা বুঝতে পারেন যে বাচ্চাটা মারা যায়। এ ব্যাপারে শিশু ডাক্তার আফসার আলী, আরএমও বজলুল রশিদ টুলু ও তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদের কাছে বক্তব্য নিতে গেলে বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে প্রতিবেদকে জানান

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত