গত ৮ এপ্রিল অভয়নগনের বর্ণী হরিশপুর বাজারের জালাল মোল্লা মার্কেটের শরিফুল ইসলামের “মরিয়ম স্টোর” নামক মুদিখানা দোকানে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ,নগদ,রকেট,সিউরক্যাশ,উপায়) সহ মোবাইল রিচার্জের দোকানের সামনে। প্রতারক চক্রের একটা প্রাইভেটকার থামিয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন প্রতারক নামে।২জন প্রতারক দোকানে প্রবেশ করে। শয়তানের নি;শ্বাস চক্রটি নারিকেল তৈল ক্রয়ের কথা বলে দোকানে প্রবেশ করে, দোকানদার শরিফুল ইসলামের বাবার সাথে হ্যান্ড-শেক করে এবং মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে দোকান দারের বাবার মুখের কাছে নেয়।দোকান দারের বাবা জ্ঞানশূন্য হয়ে পরে এবং লোকগুলোর কথা মত কাজ করতে থাকে। দোকানে থাকা নগদ প্রায় ৬,০০,০০০/= টাকা নিয়ে যায়।
শয়তানের নিঃশ্বাস চক্রটির খুলনা যশোরে আলোচিত হওয়ায়। যশোর জেলা পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার এর নির্দেশে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার, এর তত্ত্বাবধানে মাঠে নামে ডিবির এলআইসি টিম। ঘটনাস্থল অভয়নগরের মোল্লা মার্কেটের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রাইভেটকারের রেজিষ্ট্রেশন নম্বরের সূত্রধরে আসামীদের নাম ঠিকানা শনাক্ত করে। এলআইসি টিমের কনষ্টেবল আব্দুল বাতেন এর দুরদর্শিতায় প্রতারক চক্রকে সনাক্ত করে ডিবির এসআই নূর ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিমান তরফদার ৭ই মে বিকাল ৬ ঘটিকায় ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা হতে ঘটনায় জড়িত আসামী খোরশেদ আলম (৫৩), সাইদুল ইসলাম বাবু (৩৫) কে গ্রেফতার করে। তাদের তথ্য মতে যশোরের সিটি প্লাজা হতে ৭ই মে রাত ১০:২০ ঘটিকায় ঘটনায় জড়িত আসামী ইরানী নাগরিক খালেদ মাহবুবী (৫৪), ফারিবোরয্ মাসুফি (৫৭), সালার মাহবুবী (১৬) গ্রেফতার করে যশোর জেলা ডিবি পুলিশের এলআইসি টীম।শয়তানের নিঃশ্বাস চক্রের কাছ হতে আলামত একটি প্রাইভেটকার,৪,৩৫৯ মার্কিন ডলার,৩২৫ ইন্ডিয়ান কারেন্সি, ১৮,৮০,০০০ ইরানি কারেন্সি, ১০০০ ইরাকের কারেন্সি, ১৮৫ নেপালী কারেন্সি,১০০০ ভিয়েতনামের কারেন্সি, নগদ ৫৪,৭০০/= টাকা, পাসপোর্ট- ০৩ টা,মোবাইল সেট ৭টি,আইডিকার্ড ২টি,অজ্ঞান করার পারফিউম-২ টি,সিসি ক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত শার্ট-১ টি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে “ডেভিল ব্রেথ” শয়তানের নিঃশ্বাস প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা যশোর জেলা, খুলনা জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করে আসছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতারণা করে থাকে।