আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:৩১

প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন মামুন

খান জাহান আলী নিউজ ডেস্ক : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৫ মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। পুরোনো ছবি মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরাণীগঞ্জ হতে তার মুক্তি কার্যকর হবে। আজ বুধবার মামুনের ছোট ভাই জালাল উদ্দিন রুমি ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর তার পক্ষে প্যারোলে মুক্তির আবেদনটি করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-২ শাখা আবেদনটি মঞ্জুর করে।

এর আগে বুধবার ভোর ৪টা ৫১ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মা হালিমা খাতুন (৯৩) মারা যান। শেষবারের মতো একবারের জন্য মায়ের মুখ দেখা, জানাজা ও দাফনে উপস্থিত থাকার জন্য এ আবেদন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত চিঠির শর্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ৭১/৮ রাজধানীর শুক্রবাদে মরহুমার জানাজার দাফন-কাফনে অংশগ্রহণের জন্য কেরানীগঞ্জ কারাগার হতে জানাযার স্থানে প্রয়োজনীয় পুলিশ প্রহরায় হাজতিকে আনয়ন এবং পুণরায় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে। এতে যাতায়াতের দুরুত্ব ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে প্যারোলের সময় নির্ধারণ এবং প্যারোলের অন্যান্য শর্তাবলি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিশ্চিত করবেন।

প্যারোলের শর্তে আরও বলা হয়, জানাযার দাফন-কাফনে অংশগ্রহণের সময় কোনো প্রকার রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা,মিডিয়া সাক্ষাত,বক্তব্য প্রদান থেকে তিনি বিরত থাকবেন এবং যথারীতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করবেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রাবাদের পৈত্রিক নিবাস সংলগ্ন সরকারি কলোনি মসজিদ মাঠে জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে মামুনের বাবা জয়নাল আবেদীনের কবরের পাশে মা হালিমা খাতুনকে সমাহিত করা হবে।

ওয়ান-ইলেভেন নামক জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন মামুন। তখন থেকেই প্রায় সাড়ে ১২ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেড় ডজন মামলা দায়ের হয়। অর্থ পাচার মামলায় সাত বছর কারাদণ্ড ও ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন নাইকো দুর্নীতি মামলার ছাড়া সবকটিতে জামিনে রয়েছেন। নাইকো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আসামি। মামলাটি চলমান রয়েছে।

আরো সংবাদ