আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:৫৭

বেনাপোলে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গড়ে ওঠেনি একটি হাসপাতাল

 দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। গুরুত্বপুর্ণ এলাকা হলেও এখানে নেই একটি সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল। আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল দিয়ে করোনার আগে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে ভারতে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠেনি কোন হাসপাতাল। কাগজ কলমে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য থাকলেও তার নেই অস্তিত্ব। এ অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছে না চিকিৎসা সেবা। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লক্ষাধিক পৌর নাগরিক। স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে কাস্টমস ও বন্দরে কর্মরত ১০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী। বেনাপোলে আছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্দর ও পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। জরুরী সেবা দিতে না পেরে অনেক সময় বেনাপোলের বাইরে হাসপাতালে যেতে যেতে রোগী মারা যায়। গত ৬ মাসে এ এলাকায় ৭৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২জন নিহত ও আহত হয়েছে ৯১জন। গুরুত্বপূর্ন এই বন্দরে হাসপাতালের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। বেনাপোল বাসীর জোরালো দাবী অবিলম্বে বেনাপোল বন্দর এলাকায় একটি উন্নত মানের হাসপাতাল নির্মাণ করা হোক।

বেনাপোল হ্যান্ডলিংক শ্রমিকরা বলেন, বন্দর নাকি শ্রমিকে প্রাণ তাহলে শ্রমিক আঘাত পেলে বন্দর কেনো দেখে না। বন্দরে একটি হাসপাতাল একটি এ্যাম্বুলেন্স এর কথা বন্দর পরিচালক স্যারকে বলে ছিলাম তিনি বলছে দেখছি।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি’র সেক্রেটারি আজিম উদ্দিন বলেন,  বেনাপোল বন্দর এলাকায় একটি হাসপাতাল খুবই জরুরী।হাসপাতাল হলে বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিটা সংগঠন তাদের সেবার জায়গাটা খুঁজে পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী দ্রুত একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হোক।

বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা ব্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, এখানে একটি উন্নত মানের হাসপাতাল হলে শিক্ষাথর্ীসহ জনগণের সুবিধা হবে। হাসপাতাল না থাকায় যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি হাসপাতাল নির্মাণ করলে সব কিছু সমাধান  হবে।

বেনাপোলে শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে জেনে আসছি দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। কিন্তু এখানে সেবা নেওয়ার মত একটি হাসপাতাল নেই। যতদ্রুত সম্ভব একটি হাসপাতাল নিমার্ণ করা হোক বেনাপোলে।

বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, দেশের গুরুত্বপুর্ণ স্থলবন্দর বেনাপোল কিন্তু দুঃখজনক যে এখানে একটি হাসপাতাল নেই। এখানে একটি হাসপাতাল দ্রুত নির্মাণ করা দরকার।

যশোর সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, বেনাপোলে যদি বড় আকারে একটি হাসপাতাল করা হয় তাহলে বন্দর ব্যবহারকারী সহ এ অঞ্চলের সকল মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে ইতি মধ্যে চিঠি পাঠিয়েছি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত