ভাইয়ের প্রেমের মাশুল গুণতে হল বোনকে। ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণীকে নগ্ন করে পুরো গ্রাম ঘোরায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পারিবারিক সুনাম রক্ষার নামে ন্যাকারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। এই ঘটনায় সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা মূল দু’জন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে।
পাকিস্তানে সহজেই নির্যাতনের শিকার হন নারীরা। পরিবারের সম্মানরক্ষা হোক বা অন্য কোনো কারণে, সবসময়ই হেনস্তার মুখে পড়তে হয় তাদের। ফের তেমনই একটি ঘটনা ঘটল পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ অক্টোবর পানি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল রেহানা (ছদ্মনাম) নামে ষোলো বছর বয়সী এক তরুণী। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় আচমকাই তাকে ঘিরে ধরে সাতজন ব্যক্তি। প্রত্যেকেই ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। প্রথমে ওই কিশোরীকে তাদের সামনে নগ্ন হতে বাধ্য করে তারা। তারপর প্রায় একঘণ্টা ধরে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে দেখেও ওই কিশোরীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
কিন্তু, কেন এভাবে হেনস্তা করা হয় ওই কিশোরীকে?
জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে প্রেম করছেন নির্যাতিতার ভাই। সেই সম্পর্ক মেনে নেন নি গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্ধরা অভিযোগ জানান তারা। রীতিমতো সালিশ বৈঠক বসিয়ে মেয়েটির পরিবারের সম্মানহানির অভিযোগে সাজিদের পরিবারকে ১০ লক্ষ জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা মিটিয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু, তাতেও আক্রোশ মেটেনি গ্রামবাসীদের। এবার সাজিদের বোনকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানো হল। ঘটনায় সাতজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনও মূল দুই অভিযুক্ত ফেরার বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ প্রধান মহম্মদ বাশারত খান।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি সমাজে পারিবারিক সম্মান অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। প্রতি বছরে পাকিস্তানে পরিবারিক সম্মানের জন্য খুন হতে হয় হাজার হাজার নারীকে। নিজ পরিবারের লোক কিংবা আত্মীয়দের হাতেই প্রাণ হারান তারা।