আজ - শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:০৫

মন্ত্রী-এমপিরাই সড়কের উল্টো পথে যান: কাদের

ঢাকা অফিস: যানজট দূর করতে জনসাধারণের সঙ্গে ভিআইপিদেরও (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের মঞ্জুরি দাবি ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রী-এমপি, গাড়ির চাপ দেখলেই ধৈর্য্য আর মানে না।আমরা তখন উল্টো পথে যাই।ভিআইপিদের এ ব্যাপারে খেয়াল করতে হবে।আমরা যদি সাধারণ মানুষকে আইন মানতে পরামর্শ দেই তাহলে আমাদের নিজেদের আইন মানা উচিত।এই প্রসঙ্গে ঈদের দিন রাতে সড়ক পথে পাহাড় ধসে দুর্গত অঞ্চল রাঙামাটি থেকে ফেরার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।ঢাকায় ফিরেছি রাত ১২টায়। রাস্তা ফাঁকা.. কাঁচপুরে ৪০ মিনিট জ্যামে আটকা থাকলাম.. আট লেনের রাস্তা! ওই যে ঢাকায় ঢুকতে হবে, কারও সহ্য হয় না। যাত্রীরাও চালককে চাপ দেয়, ট্রিপ বেশি দেওয়ার জন্য চালকরাও…।মন-মানসিকতা পরিবর্তন না হলে যানজট দূর হবে না। এর আগে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, রাস্তা করার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদে মানুষের চলাচল নিশ্চিত করতে হবে; যানজট নিরসনে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।মহাসড়কে যান চলাচলে সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ কিলোমিটারে বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত মুনাফার লোভে বেপরোয়া যান চালায় মালিক ও চালকরা।লক্ষ্য করছি মালিক সমিতির সভাপতি কোনো কোনো মন্ত্রী। শ্রমিক সমিতির সভাপতিও মন্ত্রী, কীভাবে হবে?স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, সুযোগ্য মন্ত্রী এই দপ্তরের সাথে আছে। সড়ক নির্মাণের পরে বিধ্বস্ত হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিলোমিটারে ২৫ লাখ থেকে এক কোটি টাকা খরচ হয়। এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারদের যদি নির্দেশ দেন ভালো হয়।জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বরেন, কথা বলতে শিখতে মানুষের লাগে দুই বছর। আর কি বলতে হবে সেটা শিখতে সারা জীবন। যখন পদ্মা সেতুর খরচ ৮ থেকে ২৮ হাজার হয় তখন মনে প্রশ্ন ওঠে।নানা সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সমালোচকরা আমার বড় বন্ধু যদি গঠনমূলক হয়। চাটুকর মোসায়েবরা আমার বড় শত্র“। তারা বলে সব ঠিক আছে। আসলে ‘আই অ্যাম নট অলওয়েজ রাইট’, ভুল হবেই; ভুল সংশোধন করতে আমরা পারি।বাজেটের পর বিএনপি প্রেস ব্রিফিং করে। মনে হয় সরকার উচ্ছেদ করবে। বাজেট নিয়ে কত কথাই হলো। কিছু কিছু জিনিস রিভাইজ করে প্রধানমন্ত্রী সংশোধন করে দিয়েছেন। এখন বাজেট নিয়ে আনন্দ।২০০৮ সালে সড়কে এক হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেট বেড়ে এখন ১৭ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু অনিয়ম আছে, অস্বীকার করার উপায় নেই।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত