আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:২৬

মুক্তেশ্বরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা।

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের মুক্তেশ্বরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সোহরাব উদ্দীনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আজ শনিবার সকাল ১০ টায় মুক্তেশ্বরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিদ্যালয়টির সভাপতি মোঃ ইন্তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক ঝন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল কবির রবিউল ও বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


বিদায়ী শিক্ষক সোহরাব উদ্দীনের ১৭ মিনিটের বক্তৃতা ও কান্নায় পরিবেশ থমেথমে হয়ে ওঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষক এসএম সোহরাব উদ্দীন

তিনি তাঁর বক্তৃতায় কান্না জড়িত কণ্ঠে সকলের দোয়া কামনা করে বলেন , আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের যত অর্জন রয়েছে তাঁর সকল কৃতিত্ব আমি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের দিলাম আর যা ব্যর্থতা আছে তাঁর গ্লানি আমার কাঁধে নিয়ে গেলাম। এসএম সোহরাব উদ্দীন এই বিদ্যালয়ে একটানা ৩৭ বৎসর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এবং শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকও নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহারুল ইসলাম বলেন ৩৭ বৎসর শিক্ষকতার জীবনে সোহরাব স্যারের যে অর্জন তা যেন বিফলে না যায়। প্রতিষ্ঠানের প্রতি কতটুকু দরদ থাকলে বিদায় বেলায় মানুষ হাউ হাউ করে কাঁদতে পারে তা সোহরাব স্যারকে দেখে বোঝা যায়। এই স্কুলকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিতে সোহরাব উদ্দীনের যে প্রচেষ্টা ছিল তা যেন আমরা ভুলে না যায়। একই সাথে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা , জমিদানকারী , এবং যাদের রক্ত ঘামের বিনিময়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তাদেরকেও যেন না ভুলি। বঙ্গবন্ধু যখন দেখলেন তাঁর শিক্ষক চাকরি শেষে পেনশন না পেয়ে মাঠে কর্দমাক্ত হয়ে কৃষিকাজ করছেন তখন বঙ্গবন্ধু শিক্ষকের মর্যাদা দিতে তিনি বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারী করণ করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গৃহশিক্ষকের মর্যাদা দিতে মোস্তফা ফারুখ আহমেদ কে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। আমরাও যেন এভাবেই শিক্ষকের মর্যাদা দিতে পারি এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন শাহারুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন আ’লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের, পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরজান আলী সহ মুক্তেশ্বরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

আরো সংবাদ