আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:০০

যশোরের আলোচিত ৬ যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার, ঢাকায় স্থানান্তর

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বহুল আলোচিত অভিযুক্ত ৬ যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সোপর্দের জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে।

গতকাল সোমবার অভিযুক্ত ৬ রাজাকারকে গ্রেপ্তার ও তাদের ঢাকায় পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৭ সালে এই ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার পর ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২৩ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ এসে পৌঁছায় যশোর জেলা পুলিশের কাছে। জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বাঘারপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়। ২৪ অক্টোবর রাতে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন সরকার ও বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্ত ৬ যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাঘারপাড়ার আবুল হোসেন, হোসেন আলী, আবু বক্কর, আগড়া গ্রামের লুৎফর রহমান, খয়বার রহমান ও নুর ইসলাম।তাদের মামলা চলমান ও বিচারাধীন আছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন পিপিএম জানান, ১৯৭১ সালের ৫ জুন অভিযুক্ত রাজাকার আবুল হোসেনসহ ১০-১২ জন সশস্ত্র রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কাওছার আলী, ইকরাম আলী ও আজিবর বিশ্বাসের বাড়িসহ ১০-১২টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আশেক আলীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে বাঘারপাড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন চালায়। ওই দিন রাতে মুক্তিযোদ্ধা আশেক আলীসহ বেশ কয়েকজনকে পাশের চিত্রা নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত