খানজাহান আলী 24/7 নিউজ : অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের ১৫ ব্যবসায়ীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম। একই সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি অগ্নিকান্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির খোজ খবর নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেন। এসময় শাহারুল ইসলাম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলামকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিদের্শনা প্রদান করে বিভিন্নভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি সকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “গতরাত থেকে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। এরকম দুর্ঘটনা কারও কাম্য নয়।ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যবসায়ী যাতেকরে পুনরায় ব্যবসা করতে পারে আমরা সে চেষ্টা করছি। সর্বপ্রথম ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো দ্রুতই নতুন করে ব্যবসার উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।”
স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধি সহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবগের্র প্রতি এসব ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সকলে মিলে চাইলে আবারো ক্ষতিগ্রস্থ সকল ব্যবসায়ী ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করে সাবলম্বী হতে পারবে। আমি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্য ন্ত এ অঞ্চলেই থাকি। আমি ব্যবসায়ীদের সার্বিক মজ্ঞল কামনা করি।”
এসময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক, যশোর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকেরা ভস্মিভূত হওয়া দোকানের সামনে এসে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়া দোকানিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। একইসাথে ফের ব্যবসায় শুরু করতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তাও দরকার বলে জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে যাদের দোকান ভস্মিভূত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আশিকুর রহমান, মিনু মেম্বার, সাব্বির হোসেন, আকবর আলী, পলাশ, মিরাজুল ইসলাম, আব্দুল গফুর, প্রবীর, আবু তাহের, আমির হোসেন, নুরুল ইসলাম, কাইয়ুম আহমেদ, রিপন, এবং জাকির হোসেন। অনেক কষ্টে স্বপ্নের দোকান পরিচালনা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন এসব ব্যবসায়ী। মুহূর্তের আগুন তাদের সব সম্বল নিঃশেষ করে দিয়েছে। এখন পরিবারের কী হবে এই চিন্তায় তারা যেনো ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, সব দোকান মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ লাখ টাকা। সামনে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। সেজন্য তারা দোকানে নতুন পোষাক তুলেছিলেন। কিন্তু, প্রথম রোজার দিন থেকেই লকডাউন শুরু হওয়ায় কেউ দোকান খুলতে পারেননি। সব মালই দোকানে ছিল।
প্রসঙ্গত, গেল রাত পৌনে ১১টার দিকে যশোর জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শহরের মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দান (টাউন হল মাঠ) সংলগ্ন এই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা বলছেন।