যশোরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মইন উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা সালমা খাতুন।
মামলায় আাসমি করা হয়েছে নিহতের চাচাতো দুই ভাই আশিক ও সাজিব, চাচী আলেয়া খাতুন, চাচা মাজিদ মোল্লা এবং একই গ্রামের জসিম ও ফারুককে। পুলিশ অভিযুক্ত আলেয়া খাতুনকে আটক করেছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিহত মইন উদ্দিন পেশায় রাজমিস্ত্রী। তার পরিবারের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ জুন জামির হোসেনের ছেলে সাগরকে পেয়ে আশিক ও সজিব বেধড়ক মারধর করে। সেই সময় জামির হোসেন দূরপাল্লার গাড়ি চালাতে বাইরে ছিলেন। পরে ঈদের ছুটিতে ফিরে এসে জামির হোসেন এ ঘটনার কারণ জানতে চান আশিক ও মাজিদের কাছে। এ নিয়ে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। গত ৯ জুন দুপুর ২টার দিকে জামির হোসেন স্থানীয় করিমের মেহগনি বাগানে ছিলেন। সেখানে আশিক, সজিব, জসিম, ফারুক ও অন্যরা দেশীয় অস্ত্রসহ তার ওপর হামলা চালায়। আশিকের ছুরিকাঘাতে জামিরের বুকের ডান পাশে আঘাত লেগে ছুরি শরীর ভেদ করে বের হয়ে যায়। এ সময় ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মইন উদ্দিনকে হত্যার নির্দেশ দেয় জসিম ও ফারুক। অন্যরা তাকে ধরে রাখে এবং আশিক একের পর এক ছুরিকাঘাত করে। এতে মইনের পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মইন উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। জামির হোসেনকে খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়। পরে রাতে মামলা দায়েরের পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ খয়েরতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত আলেয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। স্থানীয়রা জানান, এ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আশিক একজন উশৃঙ্খল ও নেশাগ্রস্ত যুবক। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তারা দ্রুত আশিকসহ সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।