আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:০৪

যশোর দড়াটানার ব্রিজকে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নতুন ব্রিজ নির্মাণ করবে সওজ

ভৈরব নদ খনন কাজ করার লক্ষে যশোর শহরের দড়াটানায় পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুনভাবে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ কাজে ব্যয় হবে ১৫কোটি টাকা। নতুন ব্রীজ নির্মাণের লক্ষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটা অনুমোদন হয়ে আসলে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান ৫১টি ব্রিজ অপসারন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ না করলে ভৈরব নদ খনন কাজ শতভাগ শেষ করা যাবে না।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, যশোর শহর অংশের ভৈরব নদ খননের লক্ষে টেন্ডার করে কাজ শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট। গত ২০ জুন এ কাজ শেষ করার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে শহরের কাঠের পুল থেকে বিরামপুর পর্যন্ত চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪৫ মিটার প্রস্থ খনন কাজ শেষ করার জন্য জলাবদ্ধতা দুরীকরণ ও টেকসই পানি উন্নয়ণ ব্যবস্থা প্যাকেজে খনন কাজের  ব্যয় নির্ধারন করে দেয়া হয় ১১ কোটি ১৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ টাকা। কিন্তু  গত ২০ জুন ভৈরব নদ খননকাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর একমাস পরে নতুন করে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে খনন কাজ শুরু করা হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান ভৈরব নদ শতভাগ খনন কাজ করতে বাধা ৫১টি ছোট ব্রিজ। এর মধ্যে এলজিইডির ২৩টি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪টি, রেলওয়ের ১টি, বিএডিসির ৩টি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ১টি, এাণ ও পুনবার্সন শাখার ১৯টি ব্রীজ রয়েছে। এসব ব্রিজের কারনে পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করছে। তাই খনন কাজ শতভাগ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান ভৈরবের উপর আমাদের দফতরের চারটি ব্রিজ রয়েছে। সব ব্রিজ এক সাথে অপসারন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না। এ জন্য গত ২২ জুলাই শহরের দড়াটানা ব্রিজ প্রশস্ত করে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে নতুন ডিজাইনে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য হবে ৬০ মিটার। এ কাজে ব্যয় হবে ১৫ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্রিজের দৈর্ঘ্য রয়েছে ২০ মিটার। যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড  মন্ত্রণালয় থেকে  নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করার টাকা অনুমোদন করে আনতে পারে তাহলে সব ব্রিজ এক সাথে অপসারন করে নতুন করে প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত