আজ - বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - রাত ১:১৭

রাস্তা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ১০ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গলে ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা। উপর্যুপরি ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। দুদিন পর শনিবার রাতে এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।

এরা হলো- পৌর শহরের জালালীয় রোডের বাসিন্দা মো. সাদ্দাম (২৫), শহরতলীর রামনগর বস্তির শাহীন মিয়া (২২), একই এলাকার মো.ওয়াহিদ মিয়া (২২) ও সিন্দুরখাঁন রোডের ইউসুফ মিয়া (২৫)। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদ্দাম পেশায় একজন মোবাইল ফোন মেকার। শহরের মক্কা সুপার মার্কেটে একটি দোকানে কাজ করে।ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর পিতা রামনগর গাজীপুর বস্তির বাসিন্দা। মামলায় বলা হয়েছে, ১৭ই আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে মেয়ের মাসহ সাইটুলা গ্রামে নানা বাড়ি থেকে বাসায় আসার পথে কালীঘাট সড়কের ফুলছড়া রাস্তার মুখে পেছন দিক থেকে একটি সাদা প্রাইভেট কার নিয়ে এসে আমার মেয়েকে ঝাপটে ধরে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।

আসামীরা একে অপরের সহযোগিতায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জালালীয়া সড়কের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে বখাটে সাদ্দাম ধর্ষণ করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা তাকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যায়। এরই মধ্যে আমার স্ত্রীর মোবাইলে কে বা কারা কল দিয়ে জানায়, তোমার মেয়ে হাসপাতালে আছে।

এ খবর শুনে আমি দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসার একদিন পর আমার মেয়ের জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত ঘটনা জানায়।

এদিকে গতকাল বিকাল চারটার দিকে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. সাদ্দাম স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী পুলিশের উপপরিদর্শক অনিক বড়ুয়া বলেন, ‘মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ২নং আমলি আদালতে ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়া হবে। সে এখন সুস্থ রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া হাঁটাচলা করতে পারছে।

আরো সংবাদ