আজ - বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - রাত ১২:৫৮

শাজাহানপুরে নয়মাইল-সোনাহাটা রাস্তার বেহাল অবস্থা : দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

মিতু রহমান শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : খানাখন্দকে বেহাল হয়ে পড়েছে বগুড়ার শাজাহানপুরের নয়মাইল-সোনাহাটা পাকা রাস্তাটি। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা ভেঙ্গেচুরে কার্পেটিং উঠে গেছে। কোন কোন জায়গায় সাব-বেইজ পর্যন্ত নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে পথচারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ ১৪ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। এ রাস্তা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শাজাহানপুরের নয়মাইল ও নগর হাট, রাজারামপুর বাজার। এছাড়াও এ রাস্তার পাশে নগর জেএম ফাযিল মাদ্রাসা, নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নগর শাহ্ মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও আমরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শাজাহানপুরের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ছাড়াও ওই রাস্তা দিয়ে ধুনট ও শেরপুর উপজেলার শত শত মানুষ বগুড়া জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে ওই রাস্তা দিয়ে চিকিৎসা নিতে জেলা সদরে যাওয়ার পথে অসুস্থ মানুষ এবং গর্ভবতী মহিলাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ভুক্তভোগী অটো টেম্পু চালক আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে নিয়ে তিনি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।

 রাস্তাটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ায় পথিমধ্যে প্রায়ই অটোটেম্পু বিকল হওয়াসহ নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রভাষক রাবেয়া বেগম এবং রাজারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নসিমা খাতুন জানান, চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় রাস্তাটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে টেম্পু চালকরা ওই রাস্তায় যাত্রী বহন করতে চান না। নয়মাইল এলাকার ব্যবসায়ী জুলকার নাইম জানান, কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ বগুড়া জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে। তাই জনস্বার্থে জরুরিভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন। আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল জানান, উপজেলা সদরের সাথে তার ইউনিয়বাসীর যোগাযোগের প্রধান রাস্তায় এটি। রাস্তাটি নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। নগর জেএম ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেলাল বিন নওয়াব জানান, তিনি একজন হৃদরোগি। হার্টে রিং পরানো আছে। খানাখন্দকে ভরপুর রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতের সময় তার বেশ কষ্ট হয়। উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, জন দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই রাস্তাটি মেরামতে বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

আরো সংবাদ