আজ - রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - সকাল ৯:২৪

শিক্ষক পেটানো সেই যুবলীগ নেতা গণপিটুনিতে আহত- মোহিত নাথের চালবাজী!

সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলছে মোহিত নাথ, গণধোলাই ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইমন হত্যা মামলা প্রভাবিত ও বিলম্ব করার চেষ্টা বলছে স্থানীয়রা।


হাসপাতালে রুনুকে দেখতে যান জেলা আ’লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহিত নাথ।

আতাউল্ল্যাহ মীম, সদর প্রতিনিধি যশোর : যশোরে মেহেদি হাসান রুনু (৩০) নামে যুবলীগের এক নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকায় একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। আহত মেহেদি হাসান রুনু চুড়ামনকাটির মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। তিনি যশোর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে নিজের পরিচয় দেন।চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম খানজাহান আলী24.com কে জানান, মেহেদি হাসান রুনু আজ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে চুড়ামনকাটি বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে তার ওপর হামলা করে। সন্ত্রাসীরা রুনুকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে গেলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। রাত সাতটার সময় রুনুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার কাজল মল্লিক খানজাহান আলী24.com কে বলেন, ‘রুনুকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’ যুবলীগ নেতা রুনু আহত হওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিতকুমার নাথ। তিনি খানজাহান আলী24.com কে  বলেন, ‘চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার নেতৃত্বে তার ছেলে রুনুকে কুপিয়েছে। এই অপকর্মে মুন্নার লালিত সন্ত্রাসীরা অংশ নেয়।’ হাসপাতালে উপস্থিত রুনুর চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলামও খানজাহান আলী24.com কে একই তথ্য দেন। তবে ফোন নাম্বার না পাওয়ায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মুন্নার বক্তব্য জানা যায়নি। জানতে চাইলে সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামান  বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।’ রুনু এমপি নাবিল গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে।

চুড়ামনকাঠি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সেখান থেকে আমাদের স্পেশাল পলিটিক্যাল করসপন্ডেন্ট নাঈম সাব্বির স্থানীয় লোকজোনের বরাত দিয়ে ফোনে জানান, ২০১৭ সালের ২ মে চুরামনকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিট গঠনকে কে কেন্দ্রকরে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানকে বেদম মারপিট করেন মেহেদি হাসান রুনু। পরে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করা হয়, সেদিন উক্ত স্কুলের ৭ ছাত্র, স্কুল থেকে পালায়ন করলে প্রধান শিক্ষক তাদের ধরে এনে অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করেন। এ ঘটানাকে প্রধান শিক্ষকের অপরাধ হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে মেহেদি হাসান রুনু।   পরবর্তী তে রুনু দোষী প্রমান হলেও গণমাধ্যমে তেমন কোন প্রচার না পাওয়ায় নড়েচড়ে বসেন রুনু। ব্যাপারে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বলেন, রুনু এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, রুনু এলাকার একটি ধর্ষনেরর শালিস করতে গিয়ে ধর্ষনকারীর পক্ষ নিলে প্রতিবাদ করেন সেই প্রধান শিক্ষক ফজলু , তখন দুজন বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।  বিতন্ডার সৃষ্টি করে রুনু প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমনের জন্য উদ্দ্যত হলে শালিশে অবস্থান রত স্থানীয় জনগণ তাকে গণ ধোলাই দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সম্প্রতি জেলা ছাত্্র্ লীগের সাবেক সহসভাপতি ইমন খুনের প্্র্রধান  সন্দেহভাজন হওয়ায় সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহিতনাথ এ ঘটনাকে দোলীয় কোন্দল হিসেবে তুলে ধরতে ইউপি চেয়ারম্যান মুন্না কে দায়ী করছেন এবং ইমন হত্যার বিচার বিলম্বিত ও ঘটানাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য এসব কথা বলছেন মোহিত নাথ, এমনটা জানান স্থানীয়রা।

রুনুর উপর হামলার প্রতিবাদে শহরে নাবিল সমর্থক দের বিক্ষোভ

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত