আজ - শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি, (বর্ষাকাল), সময় - সকাল ১০:১৫

শেখ হাসিনাকে কোনও বিষয়ে ‘না’ বলো না, ক্রাউন প্রিন্সকে তার মা

রায়হান হুসাইন: আল বাহার প্রাসাদে অভ্যর্থনা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সহাস্যে বলেন, “আমার মা আমাকে বার্তা দিয়েছেন, কোনও বিষয়ে আপনাকে ‘না’  যেন না বলি।”

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে আল বাহার প্রাসাদে যান শেখ হাসিনা। এসময় তাকে অভ্যর্থনা জানান মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী এক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা জানান, আল বাহার প্রাসাদে আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বৈঠকের আগে ক্রাউন প্রিন্সের মা ফাতিমা বিনতে মুবারক রাশিদ আল মাকতুম আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা; যেখানে তারা নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। ফাতিমাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘শেখদের মা’ হিসেবে অভিহিত করা হয় বলেও উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমিরাতে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর এ সফরসঙ্গীর দাবি, ‘এটি সরকারি কোনও বিশেষ আপ্যায়ন নয়, কিন্তু এই সৌজন্যতা থেকে তাদের উষ্ণতা অনুধাবন করা যায়।’

তিনি জানান, ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার দরবার বা মজলিসে নিয়ে যান। তখন কেবিনেটের সব সদস্য এবং আমিরাতের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে সেখানে আমাদের রাষ্ট্রদূত আছেন এবং তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তার সময়ে আরবের বাইরের কোনও রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে এতো সম্মান দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাকে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসানো হয়। একইদিনে সেখানকার অর্থনীতিমন্ত্রী সুলতান বিন আল মানসুরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের অনুরোধ জানালে আমরা রাজি হই এবং দু’জনের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

ওই সফরে বন্দর, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন সংক্রান্ত চারটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে ঢাকা ও আবুধাবি।

আরো সংবাদ