আজ - মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শরৎকাল), সময় - রাত ১১:৪৭

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়

জনসমাগমে বাধার অভিযোগ * সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভায় খালেদা জিয়া

খাইরুল বাশার (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঢাকা থেকে:   শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে আপত্তির কথা আবারও জানিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, হতে পারে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানান তিনি। এ সময় সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় জনসমাগমে পথে পথে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এর নিন্দা জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু নেতা-কর্মীদের নয়, গুলশানে খালি বাস দাঁড় করিয়ে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে তাঁকেও সমাবেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে। এতো ছোট মন দিয়ে রাজনীতি ও জনগণের সেবা করা যায় না।

৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে  রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসমাবেশে এসব কথা বলেন বেগম জিয়া। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। গত বছরের ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে  প্রথম জনসভা করলেন খালেদা জিয়া। এর আগে গত বছরের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে ওই সমাবেশ হয়।  দুপুর ২টায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খানের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। জনসভা শুরুর এক ঘন্টা পর খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছান। এ সময় চারদিক থেকে তাঁর নামে সেøাগান ওঠে। স্লোগান ও করতালিতে প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানান উপস্থিত নেতাকর্মীরা। মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে বিকেল সাড়ে ৩টায় মঞ্চে উঠে অফ হোয়াইট রঙের শাড়ি পরিহিতা বিএনপি চেয়ারপারসনও হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন। জনসভায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বেশির ভাগ সময় খালেদা জিয়া খয়েরি রঙের সানগ্লাস পরে বক্তৃতা দেন। তবে শেষদিকে তিনি চশমা খুলে বক্তব্য রাখেন। এক ঘন্টাার বক্তৃতায় দেশের বর্তমান অবস্থা, সরকারের দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়া তার বক্তৃতায় নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রতি দাবি জানান। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে একইসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানান তিনি। এছাড়া ভোটে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার না করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতিও আহ্বান জানান বিএনপি নেত্রী। রাজনৈতিক বর্তমান সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে তো নির্বাচন হবেই না। আমরা বিশ্বাস করি- মানুষ আমাদের শক্তি, জনগণ আমাদের শক্তি। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবেই হবে। খালেদা জিয়া বলেন, আজ ঘরে ঘরে কান্নার আহাজারি।

এই সরকারের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়, পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন হতে হবে ভোটের মাধ্যমে। সেজন্য মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাই নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। জনসভায় নেতা-কর্মীদের আসতে বাধার অভিযোগ তুলে সরকারের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা বাঁধা না দিয়ে দুইটি জায়গায় জনসভা দিতেন, একটা আপনাদের, আরেকটা আমাদের। দেখতেন কার জনসভায় মানুষ আসে। কারণ মানুষে আমাদের ভয় নাই, তারা আমাদের ভালোবাসা, তারাই আমাদের শক্তি। এই শক্তি দিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এক-এগারোর সরকারের সময়ে জিয়া পরিবারের ওপর নির্যাতনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, তারা চেয়েছিলো আমাকে সপরিবারে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে। আমি বলেছিলাম, বিদেশে আমার কোনো ঠিকানা নেই। এদেশের মানুষই আমার ঠিকানা। এরপর আমার ছেলেদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। এক ছেলেকে পঙ্গু করেছে। আরেক ছেলে মারা গেলো। এ সময় কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। তবে নিজেকে সামলে আবারও বক্তব্য রাখা শুরু করেন বিএনপি প্রধান। এ সময় বিএনপির কারাবন্দি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, আবদুল ওহাব, রফিকুল আলম মজনু, আবুল খায়ের খাজাসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

বক্তৃতায় বিএনপি চেয়ারপারসন তার দেয়া ‘ভিশন-২০৩০’ রূপকল্প তুলে ধরে দেশের বেকারত্ব দূর করতে বেকারভাতা চালু, স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা, নারীদের উপবৃত্তি প্রদান, সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য বীমা চালুসহ নানা অঙ্গীকারের কথাও বলেন। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশের এতো ক্ষতি করেছেন, সম্পদ লুট করেছেন। সেজন্য আপনাদের সাধারণ সম্পাদক মাঝে-মধ্যে বলে ফেলেন-পিঠ বাঁচানোর জন্য ক্ষমতায় থাকতে হবে। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা প্রতিহিংসা-সহিংসতার রাজনীতি করি না। আমরা আপনাদের শুদ্ধ করতে চাই, শুদ্ধি অভিযান। আপনারা মানুষ মারেন, খুন-গুম করেন, এগুলো খারাপ কাজ। এগুলো বাদ দিয়ে আমরা আপনাদের সত্যিকার অর্থে মানুষ বানানোর চেষ্টা করব। প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে দেশে বিচার বলে কিছু নেই। বিচার বিভাগ বলতে কিছু নাই। প্রধান বিচারপতিকে পর্যন্ত জোর করে অসুস্থ বানিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বিদেশে এজেন্সির লোক পাঠিয়ে তাঁকে চাপ দিয়ে পদত্যাগপত্র নিয়ে আসা হয়। তিনি চেয়েছিলেন দেশে ফিরে আসতে। কিন্তু তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

জনসভা ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশ-পাশের এলাকা সাজানো হয় নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুনে। এসব ডিজিটাল ব্যানারে ছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি। দুপুর ২টায় জনসভা শুরু হলেও বিকাল তিনটার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠ ও তার চারপাশে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে তিল পরিমাণ ঠাঁই ছিলো না। দুপুর থেকেই নেতা-কর্মীরা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে। একপর্যায়ে জনসভাটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। উদ্যানের মাঠ পেরিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মূল ফটকের সামনে, মৎস্যভবন থেকে শাহবাগ সড়কেও জনস্রোত গিয়ে পৌঁছায়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ রাজধানীর আশপাশের জেলা ও মহানগর যেমন ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী এই জনসভায় যোগ দেয়। এছাড়াও কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট, লক্ষ্মীপুর, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, রাজশাহী, ফরিদপুর, বাগেরহাট, পাবনা, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা এই জনসভায় যোগ দিয়েছেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছবি নিয়ে জনসভায় যোগ দেয়। এছাড়া নেত্রকোনা থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, ডেমরা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর থেকে ফজলুল হক মিলন, হাসান উদ্দিন সরকার, নরসিংদী থেকে খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা জেলা থেকে ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন ও খন্দকার আবু আশফাক, বরিশাল থেকে জহিরউদ্দিন স্বপন, মানিকগঞ্জ থেকে আফরোজা খান রিতা ও মঈনুল ইসলাম খান শান্তর অনুসারী বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী তাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার নিয়ে জনসভায় যোগ দেন। সমাবেশে অংশ নেয়া যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের অনেকের মাথায় ছিলো লাল-সবুজের টুপি।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ লুটেরাদের দল। তারা মানুষের ভোট ও সম্পদ এবং রাজস্ব লুট করেছে। খালেদা জিয়াকে মামলায় হয়রানি করছে। কিন্তু এসবের জবাব জনগণ দেবে। জনতার আদালতে একদিন তাদের বিচার হবে। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এই স্বৈরাচার সরকারকে সরাতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগ যান চলাচল বন্ধ করেও সমাবেশ ভন্ডুল করতে পারেনি। জনগণ পায়ে হেঁটেই সমাবেশে অংশ নিয়েছে।

জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সাল আওয়ামী লীগের বিদায়ের বছর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব ছিল। সেদিন জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আশা করি, আগামী দিনে আমাদেরকে অনুমতি নিয়ে আর সমাবেশ করতে হবে না। ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ আজ সব ধ্বংস করেছে। তারা গুম-খুন শুরু করেছে। আমাদের দক্ষ এমপিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আসুন আমরা আওয়ামী লীগকে বিদায় করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি। মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে একতরফা কোনো নির্বাচন হবে না। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’। আমি তাঁকে অনুরোধ করবো- গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপোস করবেন না।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় জনসভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, জয়নুল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মধ্যে বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মহানগর উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের রাজীব আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, জ্যেষ্ঠ নেতা শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জনসভার জন্য উদ্যানে ৬০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ নির্মাণ করে বিএনপি। মঞ্চের চারপাশে বসানো হয়ে সিসি টিভি ক্যামেরা। মঞ্চের সামনে ৩০ ফুট জায়গায় দেওয়া হয় বেষ্টনি। পুরো জনসভা সুশৃঙ্খল রাখতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়। মহাসচিব মির্জা ফখরুল এই জনসভার পুরো কার্যক্রম সমন্বয় করেন। এদিকে, জনসভা উপলক্ষে সকাল থেকেই পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জলকামানের গাড়ি ও প্রিজন ভ্যান রাখা হয়।

আরো সংবাদ