আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:৪১

সরকার খালেদা জিয়াকে আমৃত্যু জেলে রাখতে চায়: জয়নুল আবেদীন

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে মরণ পর্যন্ত জেলে রাখতে চায়।বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের পর সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম জিয়া দিন দিন পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন।

তিনি গুরুতর অসুস্থ। তারপরও আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের এজলাসে নজিরবিহীনভাবে সিসি ক্যামেরা বসানো হলো। তখনই আমাদের আইনজীবীরা ধরেই নিয়েছে, আদালত আগে থেকেই একটা প্রিপারেশন নিয়ে এসেছে। ধারণা ছিল হয়তোবা, জামিন পাবো না। তারপরও আমরা নানাভাবে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি।

এর আগে খালেদা জিয়ার জা’মিন আবেদন খা’রিচ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।শুরুতে আদালতের কাছে খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর।এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীনকে বিএসএমএমইউর দেওয়া স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন পড়তে দেওয়া হয়।প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের নিয়ে কথা বলেন।

পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বক্তব্য দেন।শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, এই আদালত দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন চাইছি। খালেদা জিয়া একজন সুস্থ মানুষ ছিলেন।

কিন্তু আমরা দেখলাম, তাঁর অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, আমি ডাক্তার না। তবু যেটুকু বুঝি, এই মেডিকেল প্রতিবেদন বলছে, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। মানবিক কারণে আমরা খালেদা জিয়ার জামিন চাচ্ছি। তাঁর অবস্থা এমন যে তিনি পঙ্গু অবস্থায় চলে গেছেন। হয়তো ছয় মাস পর তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হবে।

আর কোথাও গিয়ে লাভ নেই। এ জন্য আমরা বারবারই আদালতের কাছে আসছি, বলছি, মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হোক।বেলা ১১টার পর আদালত বিরতিতে যান। বিরতির পর আবার শুনানি গ্রহণ করেন।খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আজ সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই জামিন আবেদনের শুনানিতে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বোর্ডের মেডিকেল রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আরো সংবাদ