আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:৩৯

সুনামগঞ্জে ভেঙে পড়েছে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাঁচটি গার্ডার

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও ছাতক উপজেলার সীমানায় কোন্দানালা খালের ওপর নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের পাঁচটি গার্ডার ধসে পড়েছে। গতকাল ভোরে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কের জগন্নাথপুর সীমান্তবর্তী ছাতকের ভাতগাঁও ইউনিয়নের কোন্দাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় গার্ডার ভেঙে পড়ে। তবে ব্রিজটির গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে ব্রিজটি ধসে যায় বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ। ব্রিজের নিচে বিকল্প সড়ক থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সুনামগঞ্জের জগন্নাাথপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ছাতকের ভাতগাঁও ইউনিয়নের কোন্দাইল গ্রামে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কে ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ব্রিজ নির্মাণকাজ করছে এএম বিল্ডার্স নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সাল থেকে ব্রিজটির নির্মাণকাজ চলছে। গতকাল ভোরে ব্রিজের গার্ডার বসানোর কাজ শুরু করা হয়। এ সময় ব্রিজের চারটি হাইড্রোলিক জ্যাকের একটি বিকল হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ব্রিজটির পাঁচটি গার্ডার ধসে মাটিতে পড়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ২০১৯ সাল থেকে কোন্দাইল গ্রামের ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর পর থেকে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দায়সারাভাবে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে চলে যান। তাদের গাফিলতিতেই এ ধসের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় আলী আহমদ অভিযোগ করে বলেনে, কাজ শুরু করার সময় থেকেই ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের কাজ করায় এ ধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ সড়কে থাকা আরো দুটি ব্রিজের কাজে অনিময় হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করছে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম নির্মাণকাজে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ব্রিজটির গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে পড়ে। ফলে ব্রিজটির পাঁচটি গার্ডার ধসে পড়ে। গার্ডার ধসের ফলে ব্রিজের মূল কাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি। ধসে যাওয়া গার্ডারগুলো ঠিকাদার নিজ খরচে অপসারণ করে নতুন করে আবার গার্ডার বসিয়ে দেবেন।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরো সংবাদ