আজ - শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি, (বর্ষাকাল), সময় - সকাল ১০:০৭

​জাসদ এখন আ. লীগের লেজ: সৈয়দ আশরাফ

খানজাহান আলী নিউজ ডেস্ক:   জাসদ এখন আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) দুই দিনব্যাপী ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাসদের বর্তমান দৈন্যদশা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা অতি বিপ্লবী ছিল। তারা অনেক প্রতিক্রিয়াশীল ছিল। কিন্তু এক সময় হারিয়ে গেল। এখন তারা আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করে।’ তিনি জাসদের ধারক-বাহকদের শতভাগ ভণ্ড বলে উল্লেখ করেন এবং সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে, যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে।’
য়ৈদ আশরাফ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ছাত্রলীগের একটা অংশ হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নিয়ে আসে। এর ধারক-বাহকেরা দেশটাকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই তারা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।’
জাসদই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল অভিযোগ করে আশরাফ আরও বলেন, ‘তারা যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তাহলে আজ বাংলাদেশ ভিন্ন বাংলাদেশ হতে পারতো। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে দেশ অনেক আগেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতো। কিন্তু ওই হঠকারীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’

পূর্বের ইতিহাস জেনে এই জাসদকে এড়িয়ে চলার জন্য ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন,
‘হঠকারীদের এড়িয়ে চলবেন। বিপ্লব বিপ্লব করলে বিপ্লব হয় না। কাজ করতে হবে। আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে। আপনার মেধা জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে সংসদের ভেতরে ও বাইরে জাসদকে নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ব্যাপক সমালোচনায় মুখর হয়েছিল। ওই সময় তার প্রতিক্রিয়ায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করতে বর্তমান রাজনৈতিক মিত্র দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি-দুর্বলতা তুলে ধরেন। অধিকাংশ নেতাই নিজ নিজ এলাকার এমপিদের বিষোদ্গার করেন। অনেকে এমপি ও দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ করেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান ও এস এম জাকির হোসাইন ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, ইসহাক আলী খান, সুজিত রায় নন্দি, লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।

তবে বর্তমান ঐক্যে কোনও ফাটল ধরার সম্ভাবনা নাকচ করে ইনু বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জাসদ নীতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ, আন্দোলন-নির্বাচন এবং সরকার পরিচালনায় আমরা একসঙ্গে আছি এবং আমরা মনে করি, এই লড়াইটা শেষ পর্যন্ত নেওয়ার জন্য ঐক্য দরকার।’

আরো সংবাদ