অভয়নগরের ভাটপাড়ায় নিখোঁজের দুইদিন পর প্রতিবেশির সেফটিক ট্যাংকি থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে যশোর ডিবি। এরা হচ্ছে প্রতিবেশি রমজান শেখ (৪৮) ও ইউসুফ শেখ (৪১)। এছাড়া তদন্ত চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু রহস্যও উদঘাটন করেছে ডিবি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় অভয়নগরের ভাটপাড়ার মিলন কুমার দের স্ত্রী সবিতা রানী দে (৫০) বাড়ির পাশে গরুর খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়পাশের বাড়ির রমজান আলীর ছেলে নিয়ামুলের টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে সবিতা রানীর লাশ পাওয়া যায়। বাড়ির মালিক রমজান ও তার ছেলে পলাতক থাকার ঘটনার সংবাদে পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমেদের নির্দেশে তদন্তে মাঠে নামে থানা ও ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানিক টিম।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ফরিদপুর ভাঙার আব্দুল্লাহবাদ এলাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আটক হন রমজান শেখ। পরে তার তথ্যে অভয়নগর থানা পুলিশ অভয়নগরের ভাটপাড়া থেকে রমজান আলীর ভাই ইউসুফ শেখকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, পলাতক নিয়ামুলের মুরগি ফার্মে শিয়ালের হানা থেকে বাঁচার জন্য চারপাশে ইলেক্ট্রিকের গোপন লাইন সংযোগ দেন তারা। আর সবিতা গরুর ঘাস কাটার জন্য ফার্মের পাশে গেলে ইলেক্ট্রিক শকে মারা যান। এতে ভয় পেয়ে যান আসামিরা। তারা ঘটনার দায় এড়াতে সবিতা রানীর মৃতদেহ সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে গোপন করার চেষ্টা করেন। এই ঘটনা সংক্রান্তে সবিতার স্বামী মিলন কুমার দে অভিযোগ করলে থানায় মামলা রেকর্ড হয়।