আজ - শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৮:১১

অস্ত্র মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন সাহেদ

অস্ত্র মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ। একই সাথে তিনি এ ঘটনায় আদালতের কাছে ন্যায়বিচারও প্রত্যাশা করেছেন।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ দারি করেন তিনি।

এদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন ধার্য ছিল। আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ বলেন, ‘আমার কাছে থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি ন্যায়বিচার চাই। ’

এ সময় সাফাই সাক্ষী দেবেন কি না, তা সাহেদের কাছে জানতে চান। তখন সাহেদ না-সূচক জবাব দেন। এরপর আদালত মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।

গত ২৭ আগস্ট একই আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওইদিনই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলমের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শরু হয়।

এ মামলায় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. শায়রুল এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৩ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত।

অভিযোগপত্র দাখিলের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, সাহেদ যখন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিলেন, তখন তার ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি। আমরা তদন্তে অভিযোগপত্র ও মামলার ডকেটে (মামলার নথিপত্র) সব উপস্থাপন করেছি। এ ধরনের মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য প্রমাণাদি দরকার হয়, আমরা সব কিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত