বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসছে আগামী ৮ নভেম্বর। এটি হবে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে। এর আগে গত ২২-২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরে তা স্থগিত করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশেষ অধিবেশনেও আগের তিনটি অধিবেশনের মতো একই নির্দেশনা থাকবে। এ অধিবেশনের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশেষ আলোচনা।
এতে বিদেশি অতিথিরা ভার্চুয়ালি যোগদান করতে পারেন। অধিবেশনটি দুদিন চলতে পারে।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করা হলেও করোনা মহামারির মধ্যে বাজেট অধিবেশনসহ তিনটি অধিবেশন বসেছে। সর্বশেষ ১০ সেপ্টেম্বর নবম অধিবেশন শেষ হয়। এসব অধিবেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন পরিচালনা করা হয়। প্রতি কার্যদিবসে ৭০-৮০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। করোনা ঝুঁকি এড়াতে মাঝখানে ফাঁকা রেখে আসন বিন্যাস করা হয়। সংসদ অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি অধিবেশনে যোগদানের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের করোনা নেগেটিভ নিশ্চিত করা হয়।
সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশনের শেষ ও আরেক অধিবেশনের শুরুর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেওয়ার সুযোগ নেই। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর সংসদের নবম অধিবেশন শেষ হয়। ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সংক্ষিপ্ত এ অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল পাঁচটি। ওই অধিবেশনে আইন পাস হয় ছয়টি।