আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১:৫২

আবারও জ্বলছে সুন্দরবন

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে আবারও আগুন দেখা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বনের ওই অংশে ধোঁয়া দেখা যাওয়ায় আজ বুধবার সকালে বন বিভাগ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস আবার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

গত সোমবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার অন্তর্গত সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি টহল ফাঁড়ি এলাকা ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে আগুন লাগে। বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় মানুষের চেষ্টার পর গতকাল দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর গতকাল বিকেল আগুন সম্পূর্ণ নেভানো গেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে ধোঁয়া দেখা দেওয়ায় আজ সকাল থেকে ওই এলাকায় আবারও পানি ছিটানো শুরু করে তারা।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাট স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. গোলাম ছরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। তবে আগুন সেভাবে ছিল না। দুপুরের দিকে হঠাৎ হঠাৎ বিভিন্ন স্থানে আবারও আগুন জ্বলে উঠেছে। দুপুর থেকে শরণখোলা ছাড়াও আমাদের মোরেলগঞ্জ ও সদরের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।’

গোলাম ছরোয়ার আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই আগুন জ্বলছে। একেক স্থান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমরা পানি ছিটিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। এখানে অবস্থা তুষের আগুনের মতো। জ্বলছে, নিভছে, আবার জ্বলছে। এখন নিয়ম হলো পানি দেওয়া। আমরা পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তবে বিপদটা হলো মাটির ওপর যে শুকনো পাতাগুলো আছে, এর নিচে সুড়ঙ্গপথের মতো। তল থেকে আগুন ছড়াচ্ছে। সেভাবে দেখা না গেলেও ধোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকনো পাতার মাঝে আগুন নিচ থেকে ছড়াচ্ছে। আগুনের খুব কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় ভোলা নদী থেকে ২৫টি পাইপ লাগিয়ে আগুনের ওই স্থানে পানি নিতে হচ্ছে।’

স্থানীয় লোকজন বলছেন, এখন বৃষ্টি ছাড়া এই আগুন নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন। ফায়ার সার্ভিস মাত্র একটি পাইপ দিয়ে পানি দিচ্ছে। দূরে হওয়ায় একাধিক পাইপ দিয়ে চারপাশ থেকে পানি দেওয়া যাচ্ছে না। এ করণে আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে।

আরো সংবাদ