আর আমদানি নয়, উল্টো এবার ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশ। এ প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে, লাভজনক না হওয়ায়, ভারতের ত্রিপুরা থেকে আপাতত নতুন করে বিদ্যুৎ আমদানি করছে না বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান, দু’দেশের দুই বিদ্যুৎ সচিব। বৈঠকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।
চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট। অথচ সক্ষমতা আছে ২২ হাজার ৫৯ মেগাওয়াটের। বাড়তি এই সক্ষমতার বিদ্যুৎ ভারতে রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির ১৭তম বৈঠকে এ প্রস্তাবে কোনো আপত্তি করেনি ভারত। তবে, কারিগরি দিক থেকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায় নয়াদিল্লী।
বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস জানান, বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে ভারত সরকারের দিক থেকে পলিসিগত কোনো বাধা নেই।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপরও, ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। এরমধ্যে কুমিল্লার সূর্যমনিনগরের আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইনের মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে আসছে ১৬০ মেগাওয়াট। বৈঠকে আরও ৩৪০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা হলেও কেনার সিদ্ধান্ত হয়নি।
ড. আহমেদ কায়কাউস আরও জানান, ত্রিপুরাতে তাদের ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের লাইন দুর্বল রয়েছে। যদি দেখা যায় কারিগরি এবং অর্থনৈতিকভাবে এই লাইনটি খুব বেশি লাভজনক না হয় তাহলে লাইনটি রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, সৈয়দপুরে যে সংকট আছে সেটা মেটানোর চেষ্টা করব।
রবিবার দু’দেশের যৌথ মালিকানায় নির্মানাধীন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভারতীয় সচিব। বৈঠকে অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
ভারতের বিদ্যুৎ সচিব শ্রী সুভাষ চন্দ্র গার্গি বলেন, ‘আমরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি, এটির নির্মাণকাজ খুবই ভালোভাবে এগোচ্ছে। আমরা আশাবাদী নির্ধারিত ২০২১ সালেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে।’
নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি এবং ভারতীয় বিদ্যুতের কর শুল্ক অব্যাহতি নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।