আজ - সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - সকাল ৭:৩৬

ইয়াসের প্রভাবে তলিয়ে গেছে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে তলিয়ে গেছে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে জেলার দুবলা, শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।

সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। বলেশ্বর, পানগুছি, ভৈরব ও পশুর নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের ফলে এসব নদীর পানি ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার শত-শত বাড়ি-ঘর। প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে মৎস্য খামার। পানিতে মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কসহ নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার রিজাউল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৬২৯টি স্কুল কলেজ ও ৮৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন লাখ মানুষসহ গবাদিপশু রাখা যাবে।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্কসহ পর্যাপ্ত পানি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগদ টাকাসহ ২৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার প্রত্যেক উপজেলায় শিশু ও পশুখাদ্য কেনার জন্য আলাদা এক লাখ টাকা করে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতির কবল থেকে রক্ষায় গহীন বনের ৮টি টহল ফাঁড়ি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওইসব বন কার্যালয়ে কর্মরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ