বাবুল আক্তার, যশোর : কলেজের এক সভা চলাকালীন যশোর ৩-আসনের সাসংদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এর ওপর মেজাজ হারিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন উপশহর মহিলা কলেজের অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
গত ১৪ জুলাই কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের অভ্যন্তরীন মির্টিংয়ে এমপিও ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে ইংরেজি বিভাগের প্রধান সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা মেজাজ হারিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন একটি জগ। এসময় কলেজের সভাপতি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘এ সভাপতিকে আমি মানি না। তিনি কলেজের জন্য কিছুই করেননি।’
অধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে দ্রুত একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। কমিটির সদস্যরা হলেন- গর্ভনিংবডির সদস্য রেজাউল ইসলাম বিন্দু, ফশিয়ার রহমান, সহকারি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সহকারি অধ্যাপক ফারহানা নাহিদ।
কলেজের শিক্ষক কাউন্সিলের মির্টিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারের কোন আর্থিক সুবিধা পান না তাই সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে তাদের জন্য মোটামুটি সুবিধাজনক হিসেবে ১৩ হাজার টাকা করে বেতন নির্ধারণ করা হবে। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা স্কেল অনুযায়ী সরকারি বেতন-ভাতা পান। তাই কলেজ ফান্ড থেকে তাদের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়। সবার সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরই সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ক্ষেপে যান।
এসময় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনার্স শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত ননএমপিও শিক্ষকদের কোনভাবেই এতো টাকা বেতন দেওয়া যাবে না। উপস্থিত সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদকে লক্ষ্য করে বলেন, এ সভাপতিকে আমি মানি না। তিনি কলেজের জন্য কিছুই করেননি। ওই সভায় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ সহ সকল এমপিও ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে আহবায়ক উপাধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীন খানজাহান আলী টোয়েন্টিফোর ডটকম কে বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হবে। প্রতিবেদনের আলোকে গর্ভনিংবডি সিদ্ধান্ত নেবেন।