আজ - মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:২৫

কলারোয়ায় ৪৪টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা: প্রতিমা রাঙাতে ব্যস্ততায় প্রতিমা শিল্পীরা

শারদীয় দুর্গোৎসবের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কলারোয়া উপজেলাব্যাপি চলছে প্রতিমায় শিল্পময় রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার কাজ। ৪৪টি মন্ডপেই ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রঙ-তুলির অনুপম পরশে দেবি দুর্গাকে মোহনীয় সাজে সজ্জিত করা হবে দু এক দিনের মধ্যেই। কলারোয়ায় সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আর ৮ দিন পরই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরজমিনে পৌরসভাধীন উত্তর মুরারীকাটি পালপাড়া পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পী প্রহ্লাদ বিশ্বাস সহ ৪জন পার্শ্ব মৃৎশিল্পী ঠাকুরের শরীরের বস্ত্রে শেষ মুহূর্তের রঙের ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত। দিনরাত ব্যস্ততার কথা বলে মৃৎশিল্পী জানালেন, এ বছর তিনি বিভিন্ন এলাকার ১৪টি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ সকল পূজা মন্ডপে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নিদৃষ্ট সময়ে প্রতিমাকে সাজিয়ে তোলার জন্য। প্রতিমা তৈরীর শেষে প্রতিটি পূজা মন্ডপ থেকে তিনি সহ তার সহযোগীরা (পার্শ্ব মৃৎশিল্পী) সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা বা এর বেশি পারিশ্রমিক পাবেন বলে জানান।

তিনি আরও জানান, সকল প্রতিমা (ঠাকুর) তৈরীতে মাটির কাজ শেষে চলমান রংয়ের কাজের মধ্যে ঠাকুরের অঙ্গে বস্ত্র পরিধান করত: পূজার নির্ঘন্ট অনুযায়ী নিদৃষ্ট সময়ে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। এমনিভাবে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানা যায়। আর এই মৃৎ শিল্পীদের কারুকাজ দেখতে বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে বয়স্কদের সাথে সাথে কচিকাঁচাদের (শিশুদের) মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পূজারিদের মতে এ বছর নবরাত্রি শুরু হবে আগামী ৭ অক্টোবর এবং শেষ হবে ১৫ অক্টোবর। আরও জানান, ৬ অক্টোবর(১৬ আশ্বিন) বুধবার মহালয়ার পর পরই দুর্গাপূজার পাঁচদিনের নির্ঘন্টে ১১ অক্টোবর(২৪ আাশ্বিন) সোমবার মহাষষ্ঠী পূজার পর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী ও মহানবমী পূজা যজ্ঞ শেষে ১৫ অক্টোবর(২৮ আশ্বিন) শুক্রবার বিজয় দশমী ও দুর্গা বিসর্জন উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

এ বছর কলারোয়া উপজেলাব্যাপি ৪৪টি পূজা মন্ডপে মা দুর্গার আরাধনায় প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে বলে জানা যায়। উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার রায় জানান, পৌরসভায় ৮টি পূজা মন্ডপ ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে যথাক্রমে জয়নগরে ৬টি, জালালাবাদ ১টি, কয়লা ইউনিয়নে ২টি, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ২টি, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ৩টি, সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২টি, চন্দনপুর ইউনিয়নে ৩টি, কেরালকাতা ইউনিয়নে ২টি, হেলাতলা ইউনিয়নে ৩টি, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, দেয়াড়া ইউনিয়নে ৫টি ও যুগিখালী ইউনিয়নে ৪টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে থানা প্রশাসন দেয়াড়ার পাটুলি এলাকার ২টি, জয়নগর ইউনিয়নে ২টি ও যুগিখালী ইউনিয়নের ওফাপুর এলাকার ১টি পূজা মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজায় যাতে কোন ধরনের অশান্তি ও নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী এবং থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত