আজ - শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৮:৪০

কুষ্টিয়ায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে আরও ১৮

কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন করোনায় ও চারজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

এ ছাড়া ৫৩৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 তিনি জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে কুমারখালী আট, দৌলতপুরের ৩১, ভেড়ামারায় চার, মিরপুর ২৯,  খোকসায় ১৩ জন।  নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গতদিনের চেয়ে বেড়ে ৩৩.৯৫ শতাংশ হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৮ জন।

এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০০ বেডবিশিষ্ট করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছে ২৪৩ জন। তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৯১ জন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।

গত সাত দিনেই কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক হাজার ২১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত শুধু করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.  আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আকরামুজ্জামান মিন্টু বলেন, হাসপাতালে ২০০ শতাধিক পয়েন্টে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোল চালু রয়েছে। বেশি গুরুতর রোগীদের জন্য আলাদাভাবে পেয়িং ওয়ার্ডে রাখা হয়। ঈদ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রোগী বাড়লেও চিকিৎসাব্যবস্থা ও ভর্তির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসার এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় গত দুই মাসে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তবে আশা করা যাচ্ছে, এটি কমে যাবে। আর প্রায় সব মানুষই মৃদু সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য ঈদপরবর্তী আক্রান্তের হার কমতে পারে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল বারী বাপ্পি জানান, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ৩০টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলার মধ্যে ১২টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আরো সংবাদ