আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৩:৫৮

খুলনায় লকডাউনের প্রথমদিনে ৪৮ মামলা : ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

খুলনায় করোনা সংক্রমণ এড়াতে কঠোরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিলো কম। লকডাউনের প্রথম দিনে ৪৮টি মামলা ও ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।


খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন’র নির্দেশে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকল্পে অভিযান পরিচালনাকালে গতকাল সোমবার এ মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়।


ব্যস্ততম এ খেয়াঘাট এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো কম। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া রূপসা খেয়াঘাট পার হয়ে শহরমুখী হচ্ছেনা কেউ। যাত্রীরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পরে ট্রলার পারাপার হচ্ছে।


ট্রলার মাঝি মোঃ মহব্বত আলী বলেন, সোমবার ভোর থেকেই প্রত্যেক ট্রলারে ১২ জন করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী ট্রলারে উঠানো হচ্ছে না।


যাত্রী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের কারণে ট্রলারে ১২-১৩ জন যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে এটি একটি ভালো উদ্যোগ।


তবে জনপ্রতি পারানী আদায় করা হচ্ছে পাঁচ টাকা, যা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কষ্ট হবে। ভোর থেকে রূপসা ঘাট পন্টুনে হ্যান্ডমাইক হাতে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন রূপসা ঘাট মাঝি ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত মুন্সি। তিনি বলেন, ভোর থেকে ১২০ খানা ট্রলার স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পারাপার করছে।


ভোরের দিকে মানুষের চাপ একটু বেশি থাকলেও সকাল হতেই তা কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ট্রলারের যাত্রী ও চালকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ট্রলারে সর্বোচ্চ ১৩জন যাত্রী পার করানো হচ্ছে। সেইসাথে ৩টাকা থেকে পারানী বাড়িয়ে জনপ্রতি পাঁচ টাকা করা হয়েছে।


খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার রোধে সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকল্পে খুলনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।


এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা সমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। একই সময়ে মহানগরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।


ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এপিবিএন’র সদস্যরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

আরো সংবাদ