আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৬:১৫

খুলনা জেলায় তরমুজের ফলন ভাল,লাভ বেশি হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

খুলনা জেলায় তরমুজের ভাল লাভ হওয়ায় চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ জমি এসেছে চাষের আওতায়।কিন্তু সেচের পানির অভাবে কৃষকের সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে প্রতিনিয়ত।এলাকার অধিকাংশ খাল সরকারীভাবে ইজারা দেয়ায় সেখান থেকে সেচের পানি কিনতে হচ্ছে তরমুজ চাষিদের।প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেও ফলাফল পাচ্ছেন না, বলছেন চাষিরা।আর খাল ইজারা মুক্ত ও খননেন সুপারিশ করেছে কৃষি কর্মকর্তারা।

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় গেলেই দেখা মিলবে তরমুজ চাষে ব্যস্ত শত শত কৃষক।একসময় এই উপজেলায় অধিকাংশ জমি ধান চাষের পর পতিত থাকত।কিন্তু ১৯৯৫ সালে দুজন কৃষক ১০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ শুরু করেন।তাদের দেখে অন্য কৃষকেরাও তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।তবে সেচের পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের পাশ্বেমারী খালের পানি বিক্রি করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।প্রতি বিঘা জমির জন্য দুই হাজার টাকা করে সেই পানি কিনতে হচ্ছে তরমুজ চাষিদের।পর্যাপ্ত পানির অভাবে প্রায় ২০০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হতে চলেছে।বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও ফলাফল পাচ্ছেন না চাষিরা।

এলাকার অধিকাংশ খাল সরকারীভাবে ইজারা দেয়ায় সেখান থেকে সেচের পানি সংগ্রহণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা তবে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা। এসব খাল ইজারা মুক্ত ও খননের সুপারিশ করেছে কৃষি কর্মকর্তারা।আর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বললেন,খাল ইজারার নিয়ম অনুযায়ী এক তৃতীয়াংশ খালের পানি আশেপাশের কৃষকরা ব্যবহার করতে পারবে।আর সে ব্যাপারেই দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা চেষ্টা করা হয়েছে।

গত বছর জেলায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২০ হাজার টন তরমুজ হয়েছিল।চলতি বছর প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হচ্ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

আরো সংবাদ