আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৪:২৬

গান শুনছেন, এই মৃত্যুর জন্য কি আপনি দায়ী না?

বিনোদন ডেস্ক : শীত চলে আসছে। আপনার- আমার আশেপাশে শব্দের উপদ্রব শুরু হবে। রাতের বেলায় উচ্চ শব্দে মাইক এবং গান বাজানো নিয়ে প্রায় প্রতিটি এলাকায় রয়েছে অভিযোগ। এই শব্দ দূষনকে কেন্দ্র করে অতীতে মৃত্যুও ঘটেছে মানুষের। আবাসিক এলাকার ভেতরে বিয়ে, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, নববর্ষসহ নানা অনুষ্ঠানে রাতে উচ্চ শব্দে এলাকা কাঁপিয়ে গান বাজানো নতুন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এটাকে ট্রেন্ড না বলে বলা যায়, রীতিমতো একটা অত্যাচার। অথচ, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে আইন রয়েছে, আছে কর্তৃপক্ষও।

নিউ ইয়ার, ওয়াজ মাহফিল, পূজা, সমাবেশ. গরুর হাট, কনসার্ট, ফোক ফেস্ট, ক্লাসিকাল মিউজিক ফেস্ট, মেলা, জন্মদিন, বিয়ে যাই হোক-আবাসিক এলাকায় উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে এমন আয়োজন ও কর্মকান্ড নূন্যতম রাত ১০ টার পর আইন করে নিষিদ্ধ করা হোক। শব্দ দূষণ রোধে দেশে রয়েছে ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬’ এ বিধিমালা অনুযায়ী কোনও এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম করতে পারবে না কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজধানী ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। কোন তোয়াক্কা নেই কারো।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো আবাসিক এলাকাতে ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবল শব্দের মানমাত্রা নির্ধারিত আছে। বিধিমালা অনুযায়ী, বিয়ে বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, উন্মুক্ত স্থান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কনসার্ট, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে শব্দের মানমাত্রা অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু এসব অনুষ্ঠান কোনও আবাসিক এলাকাতে করা যাবে না। আবার যদি মানমাত্রা অতিক্রম করতেই হয় বা মানমাত্রা অতিক্রম করা যন্ত্রপাতি করলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই রাত ১০টার মধ্যে এসব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।

বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি সম্মানবোধের জায়গায় ঘাটতি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের পাশে যিনি আছেন, তার অধিকারে বিষয়ে, তার মনোভাবের বিষয়ে, অন্যের যে দায়িত্বশীল মনোভাব সে জায়গার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত