আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:৩৫

জবানবন্দি প্রত্যাহার ও চিকিৎসা- মিন্নির পক্ষে দুই আবেদনই নামঞ্জুর!

বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহার এবং তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসার আবেদন করা হয়। তবে দুই আবেদনই নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (২২ জুলাই) বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী আবেদন দুটি নামঞ্জুর করেন।

মিন্নির আইনজীবী ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া মিন্নির জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় মিন্নি অসুস্থ বলেও দাবি করে তাঁকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার আবেদন করা হয়।

রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বরগুনা শহরের দক্ষিণ মাইঠা এলাকার বাড়ি থেকে পুলিশ লাইনসে আনা হয় মিন্নিকে। তখন তাঁর সঙ্গে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁদের আনা হয় বলে শুরুতে পুলিশ জানায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সংশ্লিষ্টতা প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন এর আগে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সকালে গাড়িতে করে মিন্নি ও তাঁকে পুলিশ লাইনসে আনে। মামলার তদন্তের জন্য বাসা থেকে লাইনসে নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রিফাত হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী এক নম্বর সাক্ষী মিন্নি। পুলিশ লাইনসে এনে তাঁকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে।

এরপর শুক্রবার বিকেলে মিন্নি একই আদালতে তার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে পুলিশ জোরজবরদস্তি করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে মিন্নির বাবা।

এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু সমালোচনার পর বরগুনা ও ঢাকার আইনজীবীদের একটি অংশ মিন্নির পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আজ সোমবার আদালতে মিন্নির পক্ষে তাঁর জবানবন্দি প্রত্যাহার ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত