আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:২৯

জমি মাদরাসার বিক্রি করলেন সুপার!

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মাদরাসার জমি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

সুপারের বিরুদ্ধে মাদরসার নামীয় ২৯ শতক জমি নিজ নামে দেখিয়ে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি, মাদারাসার তহবিল আত্মসাৎ,কমিটি গঠনে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং মাধ‍্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ক উপজেলা স্ট্যন্ডিং কমিটির সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন মন্ডল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটি গত ২৫ আগস্ট তারিখে সরেজমিনে তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির প্রধান আসাদুজ্জামান।

অভিযোগকারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মন্ডল বলেন, শুধু জমি বিক্রি নয় তিনি মাদরাসার টাকা আত্মসাৎ ও কমিটি গঠনেও অনিয়ম করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই সুপার জামায়াতে ইসলামের রোকন। তিনি জঙ্গি ও নাশকতা মামলায় জেল খেটে বর্তমানে জামিনে আছেন।

মাদরাসার জমি বিক্রির সত্যতা স্বীকার করে সুপার মাওলানা মো: মকবুল হোসেন বলেন, মাদরাসার উন্নয়নের জন্য পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে জমি বিক্রয় করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা টাকা আত্মসাৎ ও কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে তিনি বলেন আগে জামায়াত করতাম এবং রোকনও ছিলাম। মাদরাসার সুপার হওয়ার পর থেকে এখন জামায়াতের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে আছি।

তৎকালীন সময়ের মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস‍্য মৌলভী হাশমত আলী বলেন, ১১ সদস‍্য বিশিষ্ট কমিটির মধ‍্যে সংখ‍্যাগরিষ্ট মতের ভিত্তিতে জমি বিক্রি হয়েছে বলে আমি জানি। কিন্তু অনেক দিনের ঘটনা তাই ওই রেজুলেশনে আমি স্বাক্ষর করেছি কিনা আমার মনে নেই।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। করোনার কারনে প্রতিবেদন দিতে দেরি হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব‍্যাবস্হা নেয়া হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত