নাজমুল ইসলাম : বহুল আলোচিত সম্প্রচার নীতিমালা ও আইন আলাদা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সম্মেলনে ‘সম্প্রচার শিল্প: একটি সম্ভাবনার সংকট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশনের জন্য আলাদা সম্প্রচার নীতিমালা ও আইন করা হবে।
বিদেশি শিল্পীদের তৈরি বিজ্ঞাপন টেলিভিশন সাংবাদিকতার জন্য ক্ষতি বয়ে আনছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরাই কালজয়ী, হৃদয়গ্রাহী মানুষের গভীরে পতিত হয়-এমন অনেক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বিদেশের সেকেন্ড গেয়ার শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হচ্ছে। সেটি ভারত এবং বাংলাদেশ সব জায়গায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। এতে করে এই সেক্টরটি সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের কেবল অপারেটররা ডাউনলিংক করে বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শন করছেন৷ বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শন কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু সরকারের অনুমতি ছাড়া ও কর না দিয়ে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। যারা এই কাজগুলো করছেন তারা আইন লঙ্ঘন করছেন৷ আমি আশা করি, সরকার কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করার আগেই তারা এই কাজ থেকে বিরত হবেন।
সম্মাননা পর্বে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র গঠনে ভূমিকা রাখায় তিনজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পর্ব শেষে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় শুরু হয় মূল আলোচনা। ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও অংশ নেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা৷
উল্লেখ্য, মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হককে চেয়ারম্যান ও একাত্তর টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ সংগঠনটির সদস্যসচিব নির্বাচিত করা হয়।