আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১:০৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আসফাক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান

“এসো মিলি গোমতীর টানে, শিকড়ের বন্ধনে”-এই প্রত্যয়কে বুকে ধারণ করে এবং শতাধিক শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পথচলা শুরু হয় যেই সংগঠনটির–তার নাম- “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।”

সম্প্রতি ঘোষিত হয় সংগঠনটির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। নবগঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ আসফাক সরকার আবির এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, একই বর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. কামরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পূর্বেকার কমিটিতে যথাক্রমে সহ-সভাপতি এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিদায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী নতুন কমিটির নবনির্বাচিত সকলকে অভিনন্দন জানান এবং সংগঠনের যেকোনো প্রয়োজনে পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

গত ২৩ জুলাই রাত ৯.০০ টায় এক ওয়েবিনার-এর মাধ্যমে সংগঠনের নবীন ও প্রবীণদের উপস্থিতিতে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদ”-এর নতুন কমিটির নবনির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২৭ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ১ম বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষের অর্থাৎ প্রতি বর্ষের শিক্ষার্থীদেরই সমাবেশ ঘটেছে।

কাজেই বলা বাহুল্য, নবগঠিত কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়রের দৌরাত্ম ভুলে, পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ”-এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ আশফাক সরকার আবির জানিয়েছেন, “আমার জন্মস্থান ও বেড়ে ওঠা এই মুরাদনগরে–তাই কাছে কিংবা দূরে যেখানেই থাকি, সবসময়ই শেকড়ের টান অনুভব করি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আমার আবেগের জায়গা।

একদিকে শেকড়ের টান ও অন্যদিকে আবেগের জায়গা এই দু’টোর মিশেলে যে সংগঠন তার নাম “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ”। তাই এই সংগঠনের প্রতি আমার ভালোবাসার কোন কমতি নেই। নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রাণের এই সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে আমি নিজেকে উজাড় করে দিবো ইনশাআল্লাহ। সেইসাথে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের পরামর্শ ও মতের উপর ভিত্তি করে সংগঠনের আগামী দিনের সকল কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবো। এছাড়াও, মুরাদনগর থেকে যেন সামনের বছরগুলোতে আরো অনেক বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে মুরাদনগরকে আলোকিত করতে পারে সেদিকটায় আমি গুরুত্ব দিবো। সর্বোপরি সংগঠনের শিক্ষা,সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কার্যক্রম ধারাবাহিকতার সাথে পরিচালনা করে একটি গতিশীল সংগঠন উপহার দেওয়ার ও আলোকিত মুরাদনগর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।”

নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বলেন, “প্রথমে মহান আল্লাহর নিকট লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যিনি আমাকে আবেগ, ভালোবাসা ও প্রাণের সংগঠন “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ”-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। সেইসাথে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নির্বাচক কমিটিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সংগঠনের পরিধি বৃদ্ধি ও কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। সংগঠনের সভাপতি, অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলি এবং প্রাক্তন কমিটির সহযোগিতা পেলে ক্যারিয়ার আড্ডা, উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার, মেডিকেল ক্যাম্পেইন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রিসার্স টক, ট্যালেন্ট হান্ট কম্পিটিশন, বৃত্তি তহবিল গঠনসহ সংগঠনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সর্বদা নিজেকে উজাড় করে দিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমিটির সকল সদস্যদের সাথে পরামর্শ ও সমন্বয় করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকব। আমি সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা এবং সংগঠনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।”

অন্যদিকে, নবগঠিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিগণ, সহ-সম্পাদক এবং বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরসম্পাদকগণ-এর বিবৃতিতে যেন একই সুর ধ্বনিত হলো, “কমিটির সকলে মিলে একসাথে কাজ করে যেতে চাই এবং কুমিল্লা জেলার মধ্যে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ”-কে রোল মডেল হিসেবে দেখতে চাই।” প্রসঙ্গত, কুমিল্লা জেলার ১৭ টি উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ মুরাদনগর উপজেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ২২ টি এবং এর আয়তন ৩৪০.৯৩ বর্গ কি.মি.। শিক্ষা-দীক্ষায় ও শিক্ষার গুণগত মানের দিক থেকে এ-উপজেলার সুনাম সবসময়ই ঈর্ষণীয়। প্রতিবছর এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকেই একাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখে নিজেদের আসন নিশ্চিত করছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ-উপজেলার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী নিজেদের জায়গা কৃতিত্বের সাথে দখল করে নিচ্ছে; যার পেছনে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ”-এই সংগঠনটির অবিশ্রাম পরিশ্রম ও অনিঃশেষ সহযোগিতার কথা এসকল শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন। প্রতিবছর মুরাদনগর থেকে আসা–ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখা এসকল মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রারম্ভিক সময়কার নানা অসুবিধা, আবাসন সমস্যাসহ বিভিন্ন সংকটে ও সুখ-দুঃখে যেন আশা ও আস্থার বাতিঘর হিসেবে পাশে থাকে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ”।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত