আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরসহ পৌর এলাকার অলিগলি ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টারে। চলছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সুরেলা কন্ঠে ভোটারদের আকৃষ্ট করে ভোট প্রার্থনাও। এ কারণে নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। তবে প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দে শ্রবণ শক্তির মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিরক্ত হচ্ছেন অনেকেই।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৩ পদে ৫৪ প্রার্থীকে গত শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র পদে ৩ প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত রফিকুল ইসলাম নৌকা, বিএনপির মনোনীত আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ধানের শীষ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত আব্দুল কাদের হাতাপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুর পৌর শহরের মূল সড়কের দু’ধারে, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে, পৌর এলাকার প্রতিটি অলি-গলিসহ ফাঁকা জায়গায় শোভা পাচ্ছে নৌকা, ধানের শীষ ও হাতপাখাসহ স্ব-স্ব ওয়ার্ডের পুরুষ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের পোস্টার। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় রয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যালয়ও। এদিকে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করে বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা অব্যাহত রেখেছেন।
কেশবপুর পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, তার ওয়ার্ডে রয়েছেন ১৫ প্রার্থী। ১৫ প্রার্থীর প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দে তিনি পরিবারের সদস্যদের শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশিদ জানান, কেশবপুর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৭২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ১৮৫ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ১০ হাজার ৫৪০ জন। পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।