আজ - রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৪:২০

নৌকা মার্কার কর্মীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিলেন,স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ শার্শা আসন থেকে দলীয় মনোনয়নে ব্যর্থ আশরাফুল আলম লিটন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। অবৈধভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি করছেন জনসভা। সম্প্রতি বেনাপোলে অনুষ্ঠিত একটি জনসভায় নৌকা প্রতীকের কর্মীদের প্রকাশ্যে হাত কেটে নেয়ার হুমকিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন আশরাফুল আলম লিটন। তার এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ৩ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ৪ ডিসেম্বর যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু। সেখানে হাত কেটে নেয়ার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ, ফেসবুক উক্তির কপি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, যশোর-১ শার্শা আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে ব্যর্থ হয়ে আশরাফুল আলম লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়নে ব্যর্থ হয়ে তিনি রীতিমতো বেপরোয়া। প্রকাশ্যে জনসমাবেশ করে বিভিন্ন উস্কানীমূলক ও সন্ত্রাসী স্টাইলে বক্তব্য রাখছেন। গত ২৮ নভেম্বর বেনাপোলে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের কর্মীদের প্রকাশ্যে হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৬ নভেম্বর আশরাফুল আলম লিটন নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে লিখেছে ‘শার্শার মুক্তির জন্য কে কে জীবন দিতে প্রস্তুত’। তার এই উক্তি ধ্বংসাত্মক , হানাহানি এবং খুন খারাবির ইঙ্গিত বহন করে। এ ধরণের সন্ত্রাসী আচরণের জন্য শার্শার শান্তিকামী ভোটাররা ভীত সন্ত্রস্ত ও অজানা বিপদের আশঙ্কায় প্রহর গুণছে। আওয়ামী লীগের পঞ্চমবারের মতো দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত তিনবারের এমপি জনপ্রিয় আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন এ ঘটনায় অত্যন্ত শঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোল পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে হত্যা, বোমাবাজি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছেন। বর্তমানেও লিটন নানাবিধ অপকর্মের সাথে জড়িত। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার জানান, অভিযোগের কপি এখনো তিনি হাতে পাননি। কপি পাওয়ার পর তদন্ত করে দেখা হবে।

আরো সংবাদ