আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:৫৫

পুলিশের এসআইসহ ডাকাতি মামলায় পাঁচজনের ১০ বছরের জেল

ডাকাতি মামলায় পুলিশের এক এসআইসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- এসআই মোসাদ্দেক হোসেন খান, মনিরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, লুৎফর রহমান খান ও লিটন হাওলাদার। এ ছাড়া এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আলম খান ও স্যামুয়েল বৈদ্যকে খালাস দেন আদালত।

এর আগে কারাগারে আটক আসামি মোসাদ্দেক হোসেন খান, লিটন হাওলাদারকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। এ সময় পলাতক থাকায় এ মামলার বাকি আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা হলেন, ল্যান্স কর্পোরাল মনিরুল ইসলাম রিপন, সৈনিক সাজ্জাদ হোসেন ও সৈনিক লুৎফর রহমান খান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জেকে সেলস অ্যাণ্ড ডিস্টিবিউশন কম্পানির ম্যানেজার মাঈন উদ্দিন, একাউন্টটেন্ট মো. সেলিম , ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ, ড্রাইভার নুরুল হকদের সাথে নিয়ে অন্যান্য দিনের মতো সাউথ ইস্ট ব্যাংকে আঠার লাখ ৯ হাজার দুইশত টাকা জমা দিতে রওনা দেন। তারপর অফিস থেকে একটু দূরে ১৩ নং রোডের মাথায় লোটাস কামাল বিল্ডিং এর কাছে কাভার্ড ভ্যান পৌঁছালে র‍্যাবের পোষাক পরিহিত একটা মোটরসাইকেল গতিরোধ করে দাড়ান। গাড়িতে অবৈধ মাল আছে দাবি করে চেক করার জন্য গাড়ি থামাতে বলেন। এরপর গাড়ির পেছনের বক্স খুলতে বলেন। ড্রাইভার গাড়ির পিছনের দরজা খুলে দেয়।

একটি মাইক্রো গাড়ীতে র্যাবের পোষাক পরিহিত আরো ৪/৫ জন লোক উপস্থিত হন। ড্রাইভার দরজা খোলার সাথে সাথে তারা ব্যাগ ভর্তি টাকাসহ একাউন্টটেন মো. সেলিম, ইঞ্জিনিয়াণ মো. হানিফকে তাদের মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যান। এ সময় ড্রাইভারকে হুমকি দিয়ে বলে, তাদের র‍্যাব-১ এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তাদেরকে র‍্যাব-১ এ নিয়ে না গিয়ে ভাষানটেকের দিকে নিয়ে মাটিকাটা নামক স্থানে নামিয়ে ব্যাগ নিয়ে চলে যান। পরে র‍্যাব-১ এ যোগাযোগ করে খিলক্ষেত থানায় মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর আসামিদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করে পুলিশ। একই বছর ৩০ মে সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় বিভিন্ন সময় ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত