আজ - শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - দুপুর ১২:৩০

প্রতিবন্ধী বোনের সাথে ৩ ভাই বোনের প্রতারনা।

: খুলনার ফুলতলায় বাক প্রতিবন্ধী রেক্সনা বেগমের জমি জালিয়াতি করে রেকর্ড সংশোধনের চেষ্টার অভিযোগে ৪ ভাই-বোনের নামে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফুলতলা উপজেলার বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন মহলদার ৫ সন্তানের জনক। তার ৩ ছেলে সাইফুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আছাফুর রহমান এবং ২ মেয়ে নাসিমা বেগম ও বাক প্রতিবন্ধী রেক্সনা বেগম। ইতোমধ্যে রেক্সনাকে তার পিতা আবুল হোসেন মহলদার ৩২৪১/২০২২ নম্বর হেবা ঘোষণাপত্র দলিলমূলে বুড়িয়ারডাঙ্গা ও দক্ষিণদিহি মৌজার মোট ৯১ শতক জমি হস্তান্তর করেন। রেক্সনা বেগম ওই জমি ফুলতলা ভূমি কার্যালয় থেকে প্রজাস্বত্ব আইনের ১৫০ ধারামতে মিস ৩৩৪৭/২২-২৩ নং নামজারি কেসের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করে। এ ঘটনায় রেক্সনার অপর ভাই-বোনেরা তার প্রতি সংক্ষুব্ধ হয়। পরবর্তীতে উক্ত নামজারি কেসের আদেশ রহিত ও বাতিল চেয়ে ওই আদালতে গত ২ এপ্রিল সাইফুর রহমানরা রিভিউ মামলা ফুলতলা ভূমি অফিসে দাখিল করেন। ফুলতলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ তা’ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এনামুল কবীরকে তদন্ত প্রতিবেদন, বাদি ও বিবাদি উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদানের আদেশ এবং গত ৬ এপ্রিল মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন। অত্র আদালতে একই সাথে মিস কেসটি নিষ্পত্তির স্বার্থে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে সম্পাদিত ৩৭৯ নম্বর হেবা ঘোষণাপত্র দলিলের ছায়াকপির সঠিকতা যাচাই সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য ফুলতলা সাব-রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন। সাব রেজিস্ট্রার মোহায়মেনুর রহমান গত ৬ এপ্রিল ২২৬ নম্বর স্মারকে ৩৭৯/২০২১ নম্বর দলিলটি ভুয়া ও জাল বলে অত্র আদালতে পত্র প্রেরণ করেন। মামলার ১ম পক্ষ ওই দিন হাজির এবং দ্বিতীয় পক্ষ গর হাজির থাকেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইউসুফ ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও সাব-রেজিস্ট্রার ফুলতলার প্রতিবেদন যাচাই শেষে নামজারি কেসটি বাতিলপূর্বক সম্পাদিত মামলাটি তামিলের জন্য ফুলতলা ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেন।

এদিকে ফুলতলা সাব রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর, সীল মোহর নকল ও জাল দলিল দিয়ে নামজারির আবেদন করায় বৃহস্পতিবার ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এনামুল কবীর বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে ফুলতলা থানায় একটি জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আছাফুর রহমান ও নাসিমা বেগম। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আরো সংবাদ