আজ - শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৪:১২

বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন: এমপি শাহীন চাকলাদার

কেশবপুর (যশোর) থেকেঃ যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার বলেন, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ বাঙ্গালির মুক্তি ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ছিনিয়ে আনার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। সবাই আগ্রহ সহকারে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ১৮ মিনিটের বক্তব্য শুনে দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পায় স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু ছিল বিধায় আজকে বাংলায় কথা বলতে পারি। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর এ ঐতিহাসিক ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। যেখানে এই ভাষণ চালানো হতো সেখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের গায়ের লোম খাড়া হয়ে যেতো। তারা ঠিক থাকতে পারতো না। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ যাতে একসাথে না হতে পারে সে কারণে গভীর ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমান এ বক্তব্য বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। রোববার বিকেলে কেশবপুর থানা চত্ত্বরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সহ-সভাপতি এইচ এম আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, সাধারণ স¤পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, যশোর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক।

প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার বেলুন ও কবতুর উড়িয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে মঞ্চে কেক কাটা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ